মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের ফাঁস হওয়া একটি গোপন নথি হাতে পেয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এ নথিতে স্পষ্ট হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠ মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর গোয়েন্দা নজরদারি করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নথিতে দেখা গেছে, ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো নিয়ে দোটানায় পড়েন দক্ষিণ কোরিয়ার নীতিনির্ধারকরা।
রিপোর্টটি ফাঁস হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক চাপে পড়তে পারে। দক্ষিণ কোরিয়া বলছে ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনের বিষয়গুলো তদন্ত করছে, কিন্তু একই সঙ্গে সিউল জোর দিয়ে বলছে প্রেসিডেন্টের অফিসের ভেতর হওয়া ব্যক্তিগত আলাপে আড়িপাতা অসম্ভব। আর পেন্টাগন বলছে- এই ফাঁসের ঘটনা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বড় রকমের হুমকি।
এ বছরের ১ মার্চে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দুজন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মধ্যে কথোপকথন ফাঁস হওয়া ওই নথিতে তুলে ধরা হয়েছে। ইউক্রেনকে অস্ত্র পাঠাতে সিউলকে চাপ দিয়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তা না শোনার যুক্তিতে দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, যুদ্ধে লিপ্ত কোনো দেশে অস্ত্র পাঠানো তাদের জাতীয় নীতির পরিপন্থী।
ইউক্রেনকে দিতে গিয়ে আমেরিকার নিজের অস্ত্রের মজুদে টান পড়েলে দক্ষিণ কোরিয়ার শরণাপন্ন হয় যুক্তরাষ্ট্র। গত
ফাঁস হওয়া গোয়েন্দা নথি বলছে, এই অস্ত্র বিক্রি চুক্তি নিয়ে সিউল উদ্বিগ্ন। কারণ তাদের আশঙ্কা- যুক্তরাষ্ট্র এসব গোলা নিশ্চিতভাবে ইউক্রেনে পাঠাবে। আর তা নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্টের দুই উপদেষ্টার আলাপ রয়েছে ওই নথিতে।
বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওলের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সচিব জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা কিম সুং হানকে বলেন ‘যুক্তরাষ্ট্রের কাছেই এসব অস্ত্র শেষ পর্যন্ত থাকবে কিনা তা নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন।’ আবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন হয়তো সরাসরি প্রেসিডেন্ট ইয়ুনকে ফোন করে ইউক্রেনকে অস্ত্র দিতে বলতে পারেন বলেও উদ্বেগে ছিলেন কর্মকর্তারা।
মাত্র এক সপ্তাহ পরই যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন। ততে তার আগে এই নর্থি ফাঁস হওয়ায় অস্বস্তি বেড়েছে।
Leave a Reply