দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণে জন্ম নেয়া শিশুর পিতৃপরিচয় শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষার আদেশ দিয়েছেন দিনাজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল আদালত। সে মোতাবেক ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরী ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা বরাবর ফি বাবদ গত ১৫ মার্চ ১৫ হাজার টাকা ডিডি করে জমা প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের পুটিহার(নওয়াপাড়া) গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে রবিউল ইসলাম নিজ বাড়ীতে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর সময় ধর্ষণ করে। এরপর বিয়ের প্রলোভনে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এমতাবস্থায় ওই মেয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখ রাতে বমি করতে থাকলে তার মায়ের সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে তার মায়ের নিকট সে বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলে। পরে ডাক্তারি পরীক্ষায় মেয়েটি সাড়ে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে ওই ভিকটিমের বাবা নবাবগঞ্জ থানায় মামলা নং ১০ তারিখ ৭/১/২০১৮ দায়ের করে। এরপর ওই ভিকটিম শুক্রবার ২০ জুন ২০১৮ একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। যার নাম রাখা হয়েছে লিলন বাবু।
মামলার বাদী ও তার আইনজীবী এড. মোঃ আবদুল হাকিম(২) জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগ পত্র আদালতে দায়ের করেছেন।
কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট তাদের নিকট সন্তোষজনক না হওয়ায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে পুনরায় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত তা মঞ্জুর করলে পরীক্ষার জন্য ফি প্রদান করা হয়।
Leave a Reply