সারা বিশ্বে আলেচিত সাগরপাড়ে মুখথুবড়ে পড়ে থাকা তিন বছরের শিশু আয়লান কুর্দির মৃত্যুর ঘটনার বিচার করেছে তুরস্ক আদালত। এ ঘটনায় জড়িত মানব পাচারকারী সংগঠনের তিন ব্যক্তির প্রত্যেককে ১২৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
দেশটির আদালত ঘটনার পাঁচ বছর পর শুক্রবার এই দণ্ডাদেশ দেন। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানা যায়।
২০১৫ সালে আয়লান কুর্দি আরো ১৪ জন শরণার্থীর সাথে এজিয়ান সাগর দিয়ে গ্রীসে যাওয়ার পথে নৈাকা ডুবে মারা যায়। পরে তুরস্কের বোদরুম সৈকতে পড়ে থাকা আয়লানের ভেসে ওঠা লাশ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সকলের মানবতাকে নাড়া দিয়েছিল। যা সিরিয়ার শরণার্থীদের দুর্দশার প্রতীক হিসাবে ফুটে ওঠে। ওই ঘটনায় আয়লানের সঙ্গে মা-ভাইসহ মারা যান আরো অন্তত ১১ জন।
জানা যায়, সিরিয়ার কোবানে শহরে পরিবারের সঙ্গে থাকত আয়লান। সেখানে আইএস জঙ্গিদের তাণ্ডব থেকে বাঁচতে আয়লানের পরিবার কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে। কিন্তু কানাডা কর্তৃপক্ষ তাদের আবেদন নাকচ করে দেয়ায় তারা পাচারকারীদের সাহায্যে সাগর পাড়ি দিয়ে তুরস্ক থেকে গ্রিসে যাওয়ার চেষ্টা করে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা বাহিনী পলাতক ওই মানব পাচারকারীদের এ সপ্তাহে দেশটির দক্ষিণ প্রদেশ আদানা থেকে গ্রেফতার করেছে।
এ দুর্ঘটনায় দায়ী অধিকাংশ সিরিয়ান ও তুরস্কের আসামিদের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে দণ্ডিত ওই তিন মানব পাচারকারী বিচারকালীন সময় পালিয়ে গিয়েছিলেন। তুরস্কের বোরদাম উচ্চ ফৌজদারি আদালত আসামিদের ‘উদ্দেশ্যমূলক হত্যার’ অপরাধে শাস্তি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের কারণে হাজার হাজার মানুষ উন্নত জীবনধারণের জন্য উত্তর ও পম্চিম ইউরোপের উদ্দেশ্যে বিপদজনকভাবে যাত্রা করে। যার ফলে বিপুল সংখ্যক লোক মারা যায়।
সূত্র : আনাদুলু এজেন্সি
Leave a Reply