বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, রংপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব রহিম উদ্দিন ভরসার নামাজে জানাজায় শুক্রবার বাদ আসর লাখো মানুষের ঢল নেমেছিল হারাগাছ বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। লোক সংকুলান না হওয়ায় একই মাঠে দুটি নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। চোখের পানিতে ভেজানো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় তাকে শেষ বিদায় জানান সর্বস্তরের লোকজন।
গত বুধবার বেলা ১ টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাবেক এমপি রাহিম উদ্দিন ভরসা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। ওই দিন বাদ এশা রাজধানীর ধানমন্ডির ৭ নম্বর রোডের মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নামাজে জানাজা শেষে তার লাশ হেলিকপ্টারযোগে আনা হয় হারাগাছে। সেখানে তাকে শেষ বারের মত দেখার জন্য লাখো মানুষের ঢল নামে। শুক্রবার বাদ আসর রাজধানীর বাইরে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় হারাগাছ বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। রংপুর বিভাগ ও সারাদেশ থেকে তার নিজের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কর্মচারী, সকল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবি সংগঠনের নেতাকর্মীসহ কয়েক লাখ মানুষ তার নামাজে জানাজা অংশ নেন।
রহিম উদ্দিন ভরসা ১৯৩৫ সালে রংপুরের কাউনিয়ার হারাগাছের দারারপারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মৃত মনের উদ্দিন পাইকার ও মা তবিজন্নেসা। ছোটকাল থেকেই তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে জড়িত ছিলেন। গড়ে তোলেন ভরসা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজসহ ৫০টিরও বেশি আর্থিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠান। রাজনীতি শুরু করেন বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সাথে। জাগো দল থেকে শুরু করে জিয়াউর রহমানের আমলে রংপুর-৪ পীরগাছা-কাউনিয়া (বিলুপ্ত-১০) আসন থেকে ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি রংপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। ৬ ছেলে, ৯ মেয়ে, নাতি-নাতনি, অসংখ্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিক, রাজনৈতিক সহকর্মীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে হারাগাছসহ পুরো রংপুর বিভাগে।
Leave a Reply