জিতেও হেরে গেলে মেক্সিকো। যাওয়া হলো না শেষ ষোলতে৷ কাতার বিশ্বকাপ অধ্যায় থেমে গেল গ্রুপ পর্বেই। অথচ ২-০ গোলে তারা আজ জয় পেয়েছিল সৌদি আরবের বিপক্ষে। এদিকে প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে চমকে দেয়া সৌদি আরব আজো হেরেছে। হেরেছিল আগের ম্যাচেও। ফলে মেক্সিকোর সাথে তারাও বিদায় নিল কাতার বিশ্বকাপ থেকে। আর্জেন্টিনার সাথে পোল্যান্ড শেষ ষোলতে উঠেছে এই গ্রুপ থেকে।
ম্যাচের শুরুতেই লিড নিতে পারতো সৌদি আরব। ম্যাচের তিন মিনিটেই সুযোগ পেয়েছিল সৌদি আরব, কিন্তু আল শেহরির শটটি সহজেই সেভ করেন মেক্সিকোর গোলকিপার গিলের্মো ওচোয়া।
এরপরই সুযোগ পায় মেক্সিকো, ম্যাচের ৭মিনিটে ভেগা ক্রস নিলেও সৌদি আরবের গোলকিপার আল ওয়াইস ভালোভাবেই শটটি সেভ করেন।
২৫তম মিনিটে ফের সুযোগ আসে, তবে ফ্রি-কিকে এবার দলকে রক্ষা করেন আব্দুল্লাহ আল আমরি। ২৭তম মিনিটে লোজানো বল নিয়ে এগিয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে তা সামলে দেয় আরব রক্ষণ। আক্রমণ চালিয়েও প্রথমার্ধে সৌদি আরবের রক্ষণ ভাঙতে ব্যর্থ হয় মেক্সিকো। ফলে ০-০ স্কোরবোর্ড রেখে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই গোলের দেখা পায় মেক্সিকো। ৪৭তম মিনিটে কেসার মন্টেজের বাড়ানো বল সৌদি আরবের জালে পাঠিয়ে দলকে আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেন হেনরি মার্টিন। সেই আনন্দ মিলিয়ে না যেতেই ফের উপলক্ষ চলে আসে মেক্সিকোর সামনে।
৫২মিনিটের মাথায় সরাসরি ফ্রি-কিকে সম্ভবত কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা গোলটাই করে ফেললেন লুইস ক্যাভাজ। ৩০ গজ দূরে থেকে সরাসরি শটে বল জালে জড়ান এই মেক্সিকান। ফলে ২-০ গোলের লিড নেয় মেক্সিকো।
দুই মিনিটের ভেতরই তৃতীয় গোলের দেখাও পেয়ে যেতে পারতো মেক্সিকো। তবে লোজানোর গোলটি অগ সাইডে বাতিল হয়ে যায়৷ এদিকে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে মেক্সিকো। সুযোগ আসে বেশ কয়েকটি। ৫৮তম মিনিটে কর্নার থেকে গোল করার সুযোগ হাতছাড়া হয়।
চলতে থাকে আক্রমণ। তবে হাতছাড়া হতে থাকে একের পর এক সুযোগ। অবশ্য এছাড়া আর উপায় ছিল না মেক্সিকোর সম্মুখে, শুধু জয় পেলেই হবে না, বড় জয় নিশ্চিত করতে হতো তাদেরকে। তবে সেই বড় জয় আর পাওয়া হয়নি৷ আর গোলও করতে পারেনি।
উল্টো গোল খেয়ে বসে মেক্সিকো। আর সাথে সাথেই কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের। এদিকে সৌদি আরবের হয়ে শেষ মুহূর্তে এসে গোলটি করেন আল দাওসারী। ৯৫তম মিনিটে এসে গোলের দেখা পায় আরবের দলটি। তবে এই গোল আর কাজে আসেনি, কাজে আসেনি মেক্সিকোর দুই গোলও। বাদ পড়ে গেছে উভয় দলই।
২-০ গোলে এগিয়ে থেকেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছিল না মেক্সিকো। প্রথম দুই ম্যাচ থেকে মাত্র ১ পয়েন্ট থাকায় এই ম্যাচ বড় ব্যবধানে জিততে হতো। কেননা গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় স্বস্তি ছিল না। এরই মাঝে খবর আসে সমান অবস্থায় রয়েছে মেক্সিকো ও পোল্যান্ড। কোন গোল হজম না করলে, কিংবা আরো একটি গোলের মুখ দেখলে তবেই মেক্সিকোর সামনেই সুযোগ থাকতো শেষ ১৬তে পা রাখার।
Leave a Reply