1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন

ব্রেইন টিউমারের লক্ষণ ও চিকিৎসা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২২

ব্রিটেনের এক জরিপে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ৬ জন প্রতিবছর ব্রেইন টিউমার এ আক্রান্ত হয়ে থাকে। Tentorial meningioma নামক একটি পর্দা দিয়ে আমাদের ব্রেইন দুটি কম্পার্টমেন্টে বিভক্ত। একটি হলো উপরের প্রকোষ্ঠ বা Supratentorial compartment, আরেকটি হলো নিচের প্রকোষ্ঠ বা infratentorial compartment। একজন পূর্ণবয়ষ্ক মানুষের উপরের প্রকোষ্ঠের ৮০-৮৫ শতাংশ টিউমার হয়ে থাকে এবং নিচের প্রকোষ্ঠে শতকরা ১৫-২০ শতাংশ টিউমার হয়ে থাকে। শিশুর ক্ষেত্রে উপরের প্রকোষ্ঠে ৪০ শতাংশ ও নিচের প্রকোষ্ঠে ৬০ শতাংশ টিউমার হয়ে থাকে। ব্রেইন টিউমার প্রধানত দুভাগে বিভক্ত। Benign Tumor, যা ক্যানসার জাতীয় নয় এবং Malignant Tumor বা ক্যানসার জাতীয়। ক্যানসার জাতীয় টিউমার দুধরনের- primary Malignant, যা স্থানীয়ভাবে উৎপত্তি হয়। Metastasis, যা অন্য জায়গা থেকে ব্রেইনে ছড়িয়ে পড়ে। আবার যে কোষ থেকে Tumor উৎপত্তি হয়, সেই কোষের নাম অনুযায়ী Tumor এর নামকরণ করা হয়। যেমন- astrocytoma, ependymoma, meningioma, pituitary tumor ইত্যাদি।

ব্রেইন টিউমারের কারণ : মানবদেহে কিছু gene আছে, যা টিউমার হতে বাধা দেয়। এগুলোর নাম tumor suppressor gene. কোনও কারণে tumor suppressor gene যদি inactivaction হয়, তা হলে brain tumor হয়ে থাকে। যেমন- p53 এর mutation এর ফলে brain tumor হয়। এ ছাড়া whole head বা মাথায় radiation দিলে ব্রেইন টিউমার হয়ে থাকে।

ব্রেইন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণ : মাথাব্যথা ও চোখে ঝাপসা দেখা। তবে সব মাথাব্যথাই ব্রেইন টিউমারের জন্য নয়। মাথাব্যথা ১ ভাগের কম। কারণ ব্রেইন টিউমার। ব্রেইন টিউমারের জন্য মাথাব্যথা সাধারণত খুব ভোরে শুরু হয়। ব্যথার সঙ্গে খিঁচুনি হতে পারে। খিঁচুনি সাধারণত হাতে বা পায়ে বা অন্য কোনও স্থান থেকে শুরু হয়ে শরীরে ছড়িয়ে পরে। pituitary gland টিউমার হলে রোগীর দৃষ্টিশক্তি narrow হয়ে যায়। সে সামনের অংশ দেখতে পারে এবং দুপাশে দেখে না। একপর্যায়ে অন্ধ হয়ে যায়। রোগীর ব্রেইন সামনের অংশে বা frontal lobe- এ টিউমার হলে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়। abnormal ব্যবহার করে। দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যায়। Motor area Tumor হলে উল্টোদিকে প্যারালাইসিস হয়ে থাকে। Cranial Cavity এর নিচের প্রকোষ্ঠে টিউমার হলে রোগী হাঁটতে গেলে Imbalnce হয়, কানে শোনে না, কথা স্পষ্ট করে বলতে পারে না। Tumor বেশি বড় হয়ে গেলে রোগীর হঠাৎ মৃত্যু হতে পারে।

পরীক্ষা : ব্রেইন টিউমার ডায়াগনোসিস করার জন্য MRI of brain with contrast, কোনও কোনও ক্ষেত্রে CT scan od Brain with contrast করতে হয়।

প্রতিরোধ : টিউমার প্রতিরোধের ক্ষমতা কারও নেই। তবে ধূমপান থেকে বিরত থাকলে ফুসফুস ক্যানসার হবে না এবং তা থেকে ব্রেইনে Metastasis হবে না। Radiation avoid করা। যেমন- cell phone -এর ব্যবহার কমানো, Brain radiation না দেওয়া। Radiation field থেকে দূরে থাকা। খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিলে এবং নিয়মিত প্রচুর ফল, শাকসবজি খেলে, Cell mutation কমে যায়।

ব্রেইন টিউমারের চিকিৎসা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সরকারি-বেসরকারী হাসপাতালে Microscope -এর সাহায্যে Brain Tumor Operation করা হচ্ছে। Endoscope -এর সাহায্যে আমরা ব্রেইন না খুলে pituittary tumor operation করছি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগী ভালো হয়ে বাড়ি চলে যায়।

লেখক : অধ্যাপক, নিউরো সার্জারি বিভাগ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়

চেম্বার : পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মালিবাগ ঢাকা। ০১৭১১৩৫৪১২০, ০১৭০৪২৫৯১৯৪

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com