বৃটেনের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নিয়ম ভঙ্গ করে পার্টির অভিযোগে অন্তত ২০ সরকারি কর্মকর্তাকে জরিমানা করতে যাচ্ছে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ। এই সরকারি কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। মঙ্গলবারই এই জরিমানার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে ব্লুমবার্গ।
খবরে জানানো হয়েছে, প্রথম দফা জরিমানায় খুব সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী জনসনের নাম থাকছে না। এছাড়া অনেকের বিরুদ্ধে একাধিক জরিমানা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর অ্যাপার্টমেন্টসহ তার কার্যালয়ে অন্তত এক ডজন আয়োজন নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। দেশ যখন কোভিড-১৯ লকডাউনের অধীনে তখন প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারি কর্মকর্তারা একাধিক পার্টির আয়োজন করেন। এ নিয়ে বৃটিশ রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি ওঠে।
সেসময়ই তদন্ত শুরু করে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ।
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হলে মানুষের মনোযোগ অন্য দিকে সরে গেলে বরিস জনসন গুছিয়ে নেয়ার কিছুটা সুযোগ পান। প্রধানমন্ত্রী বারবার দাবি করেন যে, তিনি কোনো আইন ভঙ্গ করেননি। তবে সোমবার দ্য গার্ডিয়ানের এক রিপোর্টে জানানো হয়, ১০ নং ডাওনিং স্ট্রিটে আইন ভঙ্গের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে তারা ১২টি লকডাউন গ্যাদারিং নিয়ে তদন্ত করছে। এরমধ্যে কয়েকটি আয়োজন হয়েছে বরিস জনসনের অ্যাপার্টমেন্টেও। তারা ৩০০টিরও বেশি ছবি ও ৫০০ পাতারও নথি ঘেটে দেখছে।
Leave a Reply