রাশিয়ার বাহিনীর বিমান হামলা ঠেকাতে রাজধানী ও গুরুত্বপূর্ণ শহরের আকাশে নো-ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তা চেয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। তবে এই পরিকল্পনায় সায় দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। খবর আলজাজিরার।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইউক্রেনের আকাশে ‘নো-ফ্লাই জোন’ প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়া আসলে ‘ভালো কোনো পরিকল্পনা নয়।’ এই ধরনের কোনো কিছু কার্যকর করতে গেলে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক সংঘাত বেঁধে যেতে পারে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সোমবার এক ভিডিও ভাষণে দাবি করেন, গত ৫ দিনে রাশিয়া ৫৬ টি রকেট হামলা করেছে। ১১৩ টি ক্রুজ মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। এমতাবস্থায় রাশিয়ার বোমা হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনের আকাশে নো ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সাহায্য চান ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট।
জেলেনস্কি দাবি করেন, মস্কো কিয়েভের জনগণের ওপর যুদ্ধাপরাধ করছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে এর বিচার হতে হবে।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের দাবি, সোমবার রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চলাকালেও ইউক্রেনের শহরগুলোতে হামলা অব্যাহত রাখে রুশ সেনারা।
‘রাশিয়া পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করতে চাপ সৃষ্টি করছে। আমরা সময় নষ্ট করতে পারি না। আমরা এই কৌশল গ্রহণ করব না। একপক্ষ অন্যপক্ষের ওপর হামলা বন্ধ করলেই কেবল সংলাপ হতে পারে। ’
কিয়েভ, খারকিভসহ প্রধান সব শহরের আকাশে উড়ছে রুশ যুদ্ধবিমান। রাশিয়ার দাবি, পুরো ইউক্রেনের আকাশে এখন রুশ আধিপত্য। এমন পরিস্থিতিতে রুশ বিমান হামলা ঠেকাতে রাজধানী ও গুরুত্বপূর্ণ শহরের আকাশে নো-ফ্লাই জোন কার্যকর করতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াইট হাউস জানিয়ে দিয়েছে, ‘নো-ফ্লাই জোন’ কার্যকর করতে গেলে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক সংঘাত বেঁধে যেতে পারে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, ‘নো-ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে রুশ বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করতে হবে। এই কাজ প্রেসিডেন্ট বাইডেন করতে চাইবেন না।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বরাবরই বলে আসছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সংঘাত চায় না দেশটি।
বাইডেন ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর আগেই বলেন, ‘রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র একে অপরের দিকে গুলি ছুড়লে তা বিশ্বযুদ্ধে রূপ নেবে।’
Leave a Reply