পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, ‘পণ্য বিদেশ থেকে আমদানির পর ট্যারিফ কমিশন বসে দাম নির্ধারণ করে দেয়। তারপরও কিছু অসৎ ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার লোভে দাম বাড়িয়ে দেন। এজন্য জেলায় জেলায় দাম মনিটরিংয়ে জেলা প্রশাসকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন।’
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় রংপুর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। রংপুরের পীরগাছায় নির্মিতব্য ক্যানসার হাসপাতালের অগ্রগতি প্রসঙ্গে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
টিপু মুনশি বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় ট্রেডিং করপোরেশনের মাধ্যমে (টিসিবি) দ্রব্যমূল্যে লাগাম টানতে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। রমজান মাস সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে টিসিবির পণ্য ৫০ লাখ মানুষকে সরবরাহের সক্ষমতা বাড়িয়ে ১ কোটি মানুষকে দেওয়া হবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত ও মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। এবার পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু কৃষকরা বলছেন তারা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। প্রতি কেজি পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ পড়ে ১৪ টাকা, আর বিক্রি করছে ১৬ থেকে ১৮ টাকা। সে কারণে বিদেশ থেকে আপাতত পেঁয়াজ আমদানি করতে নিষেধ করেছেন কৃষকরা।’
দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাজার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। ভোক্তা যাতে প্রতারিত না হন, সেজন্য সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। ভোজ্যতেল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজের মতো আমদানি নির্ভরপণ্য যাতে সঠিক মূল্যে বিক্রি হয়, সেজন্য সরকার কঠোর নজরদারি করছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেল, ডাল ও চিনির দাম অনেক বেড়েছে। ৬শ টাকা টনের ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ১ হাজার ৩শ ডলারে উঠেছে। একইভাবে ডাল-চিনির দাম বেড়েছে। আমাদের ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে প্রতি বছর ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টন, যার ৯০ শতাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ১০ শতাংশ তেল দেশে উৎপাদিত সরিষা থেকে আসে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (অপরাধ) মারুফুল ইসলাম, রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. বিমল চন্দ্র রায় প্রমুখ।
Leave a Reply