ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্য মোতায়েনের প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপের সীমানা শক্তিশালী করার পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ব্রিটেন বড় পরিসরে ন্যাটো বাহিনী মোতায়েন করার কথা বিবেচনা করছে বলে শনিবার দেশটির সরকার জানিয়েছে।
ব্রিটেন বলেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার যেকোনো অনুপ্রবেশ দ্রুত নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হবে এবং তা উভয় পক্ষের জন্য ধ্বংসাত্মক হবে।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আগামী সপ্তাহে ওই অঞ্চল পরিদর্শন করবেন এবং ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ফোনে কথা বলবেন।
জনসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই প্যাকেজটি ক্রেমলিনের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাবে, আমরা তাদের অস্থিতিশীল কার্যকলাপ সহ্য করব না এবং আমরা সবসময় রুশ আক্রমণের মুখে আমাদের ন্যাটো মিত্রদের পাশে থাকব।
তিনি বলেন, আমি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আগামী সপ্তাহে ইউরোপ জুড়ে মোতায়েন করার জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। আমরা এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, আমরা আমাদের ন্যাটো মিত্রদের সুরক্ষা দিতে সক্ষম।
কর্মকর্তারা আগামী সপ্তাহে ব্রাসেলসে এই প্রস্তাবের বিষয়ে বিস্তারিত চূড়ান্ত করবেন এবং সোমবার মন্ত্রীরা সামরিক শক্তি প্রয়োগের বিকল্প নিয়ে আলোচনা করবেন।
পর্যাপ্ত কাজ না করার জন্য সমালোচনার মুখোমুখি হওয়ার পর জনসন তার কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করেন। এর অংশ হিসেবে আগামী মাসের শুরুতে তিনি ন্যাটো প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করার জন্য দ্বিতীয়বারের মতো সফর করবেন বলে, তার অফিস জানিয়েছে।
এছাড়া, ব্রিটেনের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরাও সম্পর্ক উন্নয়ন এবং উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে আগামী দিনে রুশ প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার জন্য মস্কোতে যাবেন।
Leave a Reply