ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গতকাল শুক্রবার রাতে মেহেদী হাসান স্বপন (২৫) নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল রাত ৯টার দিকে উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের তালতলা ব্রীজ নামক স্থানে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত স্বপন সারুটিয়া ইউনিয়নের সারুটিয়া গ্রামের দবির উদ্দিন শেখের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপুর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধের কারণে সারুটিয়া ইউনিয়নের তালতলা ব্রীজ নামক স্থানে মামুন চেয়ারম্যানের সমর্থকরা স্বপনকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিক্যালে রেফার করেন। এরপর সেখানেই দিবাগত রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত স্বপন সারুটিয়া ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন।
নিহতের চাচাত বোন পপি জানান, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মামুনের নির্দেশে তার সমর্থকরা আমার ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে।
এদিকে, খুনের ঘটনায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মামুন বলেন, ‘নিহত স্বপন গতকাল আমার দলে যোগদান করেছে। যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে শোনা যাচ্ছে তারাও আমার দল করে। তবে অপরাধীকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।’
অন্যদিকে, শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার সারুটিয়া গ্রামের স্বপন নামে একজনকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা। পরে ফরিদপুর মেডিক্যালে তার মৃত্যু হয়। তদন্ত শেষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply