জ্বালানি তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। গোল্ডম্যান স্যাচস ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে চলতি বছরই তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার হয়ে যেতে পারে। গোল্ডম্যান সাচসের বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০২২ সালের তৃতীয় কোয়ার্টারে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে। আর ২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসে ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ১০৫ ডলারও হয়ে যেতে পারে।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও তেল বাজারে বিস্ময়করভাবে ঘাটতি রয়েছে। তাছাড়া ২০০০ সালের পর এই প্রথম তেল পরিসংখ্যানপত্র সর্বনিম্ন অবস্থায় নেমে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা তেলের দাম বাড়ার পেছনে কয়েকটি কারণ জানিয়েছেন। প্রথম ওপেক+ দেশগুলো তেলের উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান প্রতিরোধ করে যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে হোয়াইট হাউস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছিল যে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র বলেছিলেন, তেল উৎপাদনকারী ও ভোগকারী দেশগুলোকে নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়টি আমাদের ভাবনায় আছে।
ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার জের ধরে সরবরাহ নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগের মধ্যে চলতি সপ্তাহে তেলের দাম সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উপনীত হয়। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি দাঁড়ায় প্রতি ব্যারেল ৮৭ ডলার, ওয়েস্ট টেক্সাস ক্রুডের দাম হয় প্রতি ব্যারেল ৮৫ ডলার।
তেলের দাম বৃদ্ধি বাইডেন প্রশাসনের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ। ২০২২ সালের মিডটার্ম নির্বাচনে এটি প্রভাব ফেলতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ডিসেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ে ৭ ভাগ। চার দশকের মধ্যে এটিই ছিল সর্বোচ্চ।
গত বুধবার গ্যাসের গ্যালনপ্রতি দাম ছিল প্রায় ৩.৩২ ডলার। গত বছরের একই দিনের তুলনায় দাম অনেক বেশি ছিল। গত বছর একই দিনে দাম ছিল ২.৩৯ ডলার।
চলতি বছরজড়েই এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। গ্যাসবাডি ইতোপূর্বে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিল যে মেমোরিয়াল ডেতে গ্যালনপ্রতি মূল্য হতে পারে ৪ ডলার।
সূত্র : নিউ ইয়র্ক পোস্ট
Leave a Reply