শুক্রবার একদিনে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৮০ হাজার মানুষ। মারা গেছেন কমপক্ষে ১৮০০। বিশ্বের মধ্যে বর্তমানে এ সংখ্যা সর্বোচ্চ। নিউ ইয়র্ক এবং অন্য বড় শহরগুলো থেকে সরকারিভাবে পাওয়া তথ্যে বলা হচ্ছে, সেখানে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ঢেউ কমে আসা শুরু হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এতে আরো বলা হয়, করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য জনগণকে যতটা সম্ভব সুরক্ষামূলক মাস্ক ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষিত থাকার জন্য মাস্ক পরার জন্য নির্দেশনা পর্যালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বলা হয়েছে, দেশজুড়ে এন৯৫ মাস্ক সঙ্কটের প্রেক্ষিতে এমনটা করা হয়েছে। সিডিসি তার ওয়েবসাইটে বলেছে, এন৯৫ এবং কেএন৯৫ মাস্ক ব্যবহার করতে পারে জনগণ।
এন৯৫ মাস্ক সরবরাহে ঘাটতির উদ্বেগ দূর করতে হবে। ওদিকে কানাডার পাবলিক হেলথ বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা তেরেসা তাম বলেছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে। তাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর বড় রকমের চাপ পড়বে। অন্যদিকে বৃটেনের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়ক এজেন্সি বলেছে, ক্রমশ তাদের আস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে যে- ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য অনেক কম ভয়াবহ।
মেক্সিকোতে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত মলনুপিরাভির কালোবাজারে বা এ নামে ভুয়া ওষুধ বিক্রির খবর পাওয়া গেছে। বার্তা সংস্থা এপি বলছে, যারা করোনাভাইরাসে ভয়াবহভাবে ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদের চিকিৎসার জন্য মাত্র এক সপ্তাহ আগে কর্তৃপক্ষ এই ওষুধ অনুমোদন দিয়েছে। আর এরই মধ্যে তার ভুয়া সংস্করণও বাজারে মিলছে। দেশটিতে একদিনে নতুন রেকর্ড ৪৪ হাজার ২৯৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগের রেকর্ড ছিল বুধবারে। সেদিন আক্রান্তের রেকর্ড ছিল ৪৩ হাজার ২ শত ৬৯। সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব মতে, মেক্সিকোতে করোনাভাইরাস মহামারিতে মারা গেছেন কমপক্ষে ৩ লাখ ১ হাজার ১০৭ জন।
চীনের দক্ষিণের সীমান্তবর্তী শহর ম্যাকাউয়ে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে। ওই অঞ্চলের ঝুহাই শহরে শনিবার পাবলিক বাস রুট সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ওই রুটের কমপক্ষে সাতজনের শরীরে উচ্চ সংক্রমণশীল ওমিক্রন ভাইরাস সংক্রমণ পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ এ ব্যবস্থা নিয়েছে। অধিবাসীদের শহর থেকে বাইরে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। উপকূলীয় এই শহরটি জুয়ার শহর বলে পরিচিত ম্যাকাউয়ের সীমান্তবর্তী। সেখানে শুক্রবার দিনশেষে একজনকে হালকা অসুস্থ এবং ৬ জনের মধ্যে লক্ষণহীন করোনা সংক্রমণ পাওয়া যায়। এর ফলে শহরটিতে গণহারে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
ওমিক্রন সংক্রমণের কারণে ব্রাজিলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে স্টাফ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। রিও ডি জেনিরোর বাইরে সাও জোয়াও ডি মেরিটি কর্তৃপক্ষ হাসপাতালগুলোর শতকরা ৪০ ভাগ স্টাফকে করোনাভাইরাসের কারণে ছুটিতে থাকার অনুমোদন দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শুক্রবার একদিনে ব্রাজিলে করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ১২ হাজার ২৮৬ জন। মারা গেছেন ২৫১ জন। সব মিলে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ। মারা গেছেন ৬ লাখ ২০ হাজার ৭৯৬ জন।
Leave a Reply