পাকিস্তান ক্রিকেটে যেমন অননুমেয়, তেমনি ক্রিকেট ব্যবস্থাপনায়ও। যখন যাকে খুশি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে ক্রিকেট বোর্ডের বড় পদে। আবার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে যে কাউকে বাদ দেওয়া হয়।
সবশেষ পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সাবেক কিংবদন্তি স্পিনার সাকলায়েন মুশতাক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও তার পরবর্তী দুটি সিরিজে সাকলায়েনের কোচিংয়ে বাবর আজমরা অসাধারণ খেলে। পাকিস্তান ক্রিকেটের পুনর্জাগরণ হয় এই সময়ে। অথচ হুট করেই সোমবার কোচিংয়ে আর না থাকার ঘোষণা দিয়ে বসেন সাকলায়েন।
এদিকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড নতুন দুটি পদ সৃষ্টি করেছে। হাইপারফরম্যান্স ও পাওয়ার হিটিং কোচ নামে এ দুটি পদ সৃষ্টি করার পর পরই সাকলায়েনের পক্ষ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা আসে।
এমতাবস্থায় কিংবদন্তি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদিকে পাওয়ার হিটিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। বুম বুম আফ্রিদি এই দায়িত্ব নেবেন কিনা সেই প্রশ্ন তার ভক্তদের মধ্যে।
এ বিষয়ে সোমবার মুখ খুলেছেন এই ক্রিকেট কিংবদন্তি। করাচিতে গণমাধ্যমের প্রশ্নে আফ্রিদি বলেন, পিসিবির কেউ তাকে এখনও পর্যন্ত কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেয়নি।
‘আমাকে কেউ পাওয়ার হিটিং কোচ হতে প্রস্তাব করেনি। প্রস্তাব পেলে নিজের অবস্থান জানাব।’
তার এ বক্তব্যকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন ক্রিকেটসংশ্লিষ্টরা। তার ভক্ত-সমর্থকদের বিশ্বাস, বুম বুম কোচের ভূমিকায় এলে পাকিস্তান দলে আরও গতি আসবে।
তবে আফ্রিদি এখন পাকিস্তান সুপার লিগ নিয়ে ব্যস্ত। তিনি আসরের সপ্তম সিজনে কোয়েটা গ্লাডিয়েটরসের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
পাকিস্তানের হয়ে ৩৯৮ ওয়ানডে ও ৯৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন আফ্রিদি। তিনি জাতীয় দলের নেতৃত্বও দিয়েছেন। টেস্ট খেলেছেন ২৭টি।
ওয়ানডেতে ৮ হাজার ৬৪ রানের পাশাপাশি ৩৯৫ উইকেট শিকার করেছেন এই অলরাউন্ডার। আর টি-টোয়েন্টিতে ৯৯ ম্যাচে খেলে ১৪১৬ রানের পাশাপাশি ৯৮ উইকেট পেয়েছেন তিনি। আর টেস্টে ১৯১৬ রানের পাশাপাশি ৪৮ উইকেট নিয়েছেন আফ্রিদি।
তথ্যসূত্র: ক্রিকেট পাকিস্তান।
Leave a Reply