চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে ফেনীতে ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার দায়ে ৩২ জনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে নির্বাচনে ভোটারদের প্রভাবিত করতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কেন্দ্রে প্রবেশ করলে একটি কালো হায়েস ও একটি নোহা গাড়িসহ তাদের আটক করে পুলিশ ও বিজিবি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিখন বণিক বলেন, ‌‘শনিবার রাতে সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের চর গনেশ ও চর দরবেশ গ্রাম থেকে বহিরাগত প্রবেশ করছে- এমন গোপন সংবাদে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় তাদের হাতেনাতে ধরতে সক্ষম হয়েছি, এদের বেশির ভাগের বাড়ি পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফেনীর সোনাগাজীতে রোববার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন চলছে। তবে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত করতে আমরা আমাদের যথাযথ দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর।’

নির্বাচন প্রভাবিত করতে সরকারি দলের মনোনয়নপ্রাপ্তদের পক্ষে কাজ করতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে বহিরাগত আসার শঙ্কার কথা জানিয়ে আসছেন বিরোধী প্রার্থীরা। তবে বহিরাগতদের ঠেকাতে ও নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে সোনাগাজী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাইনুল হক জানান, উপজেলায় মোট ২ লাখ ৬ হাজার ৪২ জন ভোটার রয়েছে। ভোটগ্রহণের জন্য ৯১টি কেন্দ্রে ৫৩৯টি বুথ তৈরি করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে এক লাখ ৪ হাজার ৮২১ পুরুষ ভোটার ও এক লাখ এক হাজার ২২১ নারী ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে মঙ্গলকান্দি ও মতিগঞ্জ ইউপিতে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি সাতটিতে চেয়ারম্যান পদে ২৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ৯টি ইউপিতে সংরক্ষিত সদস্য পদে ৯৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪২১ প্রার্থী ভোটাভোটির মাঠে রয়েছেন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৯ ইউনিয়নের ৯১টি কেন্দ্রের মাঝে সবগুলোকেই গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) চিহ্নিত করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম জানান, উপজেলায় নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত র‌্যাব, বিজিবি টহল নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ৬২৬ পুলিশ সদস্য এবং প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন করে আনসার মোতায়েন রয়েছেন।