স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত আটকে আছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির পরামর্শের অপেক্ষায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে সংক্রমণের হার ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে কোনো একটি সংখ্যা বিবেচনা করা যায় কিনা, এ বিষয়ে টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শ চেয়েছিল শিক্ষা প্রশাসন। সে পরামর্শ এখনো মেলেনি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গতকাল বুধবার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বৈঠকটি হয়নি। বৈঠক না হওয়ার কারণ সম্পর্কে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির পরামর্শ পাওয়া যায়নি। দু-একদিনের মধ্যে পাওয়া গেলে রবিবার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খুলে দেওয়া হবে।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যেখানে শিক্ষার্থীরা পারিবারিক পরিম-লে কোলাহলের মধ্যে থাকে- এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে সংক্রমণের হার ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে কোনো একটি সংখ্যা বিবেচনা করা যায় কিনা, সে বিষয়ে টেকনিক্যাল কমিটির পরামর্শ চাওয়া হয়। গত ২৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় পরামর্শ চাওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮ আগস্ট সচিব সভায় করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং টিকা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রস্তুতি শুরু করে। চলতি মাসের তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার বিষয়ে চিন্তা করছে শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়। গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। সবশেষ ঘোষণায় এ ছুটি বাড়ানো হয়েছে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
Leave a Reply