মোবাইলে পরিচয়ের পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের। কিন্তু এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি তাদের পরিবার। এক পর্যায়ে পরিবারের অসম্মতিতেই বিয়ে করেন তারা। কিন্তু বিয়ের দুমাস পরেও পরিবার মেনে না নেওয়ায় বিষপানে আত্মহত্যা করেন প্রেমিক। এদিকে প্রেমিকের বিষপানের পরই ঘরের আড়ার সঙ্গে দড়িতে গলায় ফাঁস দিয়েছেন প্রেমিকা।
আজ শনিবার বিকেলে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের নাইশিমুল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আত্মহত্যা চেষ্টায় প্রেমিকা বেঁচে ফিরলেও মারা গেছেন তার প্রেমিক।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের নাইশিমুল গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান রকির সঙ্গে মোবাইলে পরিচয় হয় নীলফামারী জেলা সদরের সোলায়মান আলীর মেয়ে আরিফা খাতুনের সঙ্গে। তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। তবে তাদের এই সম্পর্ক মেনে নিতে উভয়ের পরিবার অস্বীকার করে। পরে পরিবারের অসম্মতিতেই তারা বিয়ে করেন। এরপর দুইমাস পার হলেও নানা চেষ্টার পরও পরিবার তাদেরকে মেনে নেয়নি। এরপরই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তারা।
শনিবার দুপুরের দিকে রকি নিজ বাড়িতে বিষপান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনাটি জানতে পেরে পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থার অবনতি ঘটলে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল চারটার দিকে মারা যান তিনি।
এদিকে স্বামীর বিষপানের পর স্ত্রী আরিফা খাতুনও নিজের শয়নকক্ষের আড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি দেন। এ সময় ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। এরপর ঘরের দরজা ভেঙে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসক তাকে শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় কারও বিরুদ্ধে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে প্রাথমিকভাবে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply