যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার অঙ্গরাজ্যের মিয়ামির সার্ফসাইড এলাকায় ১২ তলা ভবন ধ্বসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে পাঁচজন। ওই ঘটনায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া ১৫৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটলেও এখনো তাদের সন্ধান মেলেনি। মায়ামির সার্ফসাইড শহরের ওই ভবনের ধসে পড়া অংশে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। উদ্ধার বাহিনীর কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ফায়ার ফাইটাররা ধ্বসে পড়া ভবন থেকে কুণ্ডলী পাকিয়ে ওঠা ধোঁয়া অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছেন। নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।
মায়ামির ডেইড কাউন্টির মেয়র ড্যানিয়েলা লেভিন কাভা গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ওই ঘটনায় নিহত তিনজনের পরিচয় মিলেছে। ঘটনার পরদিন এ তিনজনের লাশ উদ্ধার হয়েছিল। শনিবার আরও একটি লাশ পাওয়া গেছে, কিন্তু তার পরিচয় মেলেনি।
মিয়ামি কর্তৃপক্ষ বলেছেন, ধ্বংসস্তুপের আশেপাশের ভবনগুলোও খালি করে দেওয়া হয়েছে। মানুষকে সেখান থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভবনটিতে ঠিক কতজন ছিলেন তা জানে না কর্তৃপক্ষ। আবাসিক ওই ভবনটি যখন ধসে পড়ে তখন অনেকেই ঘুমিয়ে ছিলেন। ধসে যাওয়া ভবনের একটি অংশ এখনো দাঁড়িয়ে রয়েছে।
উদ্ধারকর্মীরা আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধারে প্রশিক্ষিত কুকুর এবং ড্রোন ব্যবহার করছেন। পুলিশ বলেছে, ওই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৮০ সালে। এতে ১৩০টি ইউনিট ছিল। এই ধসের কারণে অর্ধেক ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ধসের সময় ঠিক কতজন ভবনে উপস্থিত ছিলেন তা জানা যায়নি।
উদ্ধার বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছেন, ঘটনার সময় ভবনটির অধিকাংশ বাসিন্দা ঘুমিয়ে ছিলেন। ভবনটির ১৩০টি ইউনিটের মধ্যে ৮০টিতে তখন বাসিন্দারা ছিলেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভবনটির নিখোঁজ বাসিন্দাদের জীবিত উদ্ধারের আশাও ক্ষীণ হয়ে আসছে। ফায়ার চিফ অ্যালান চমিনস্কি বলেন, এখানে পরিস্থিতি খুবই কঠিন, তারপরও আমরা আশা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এটাই এখন আমাদের বড় শক্তি।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই ভবনের কিছু অংশ সংস্কারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ভবনের পাশেই আরেকটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে ভবনটি ধসে গেছে তা এখনো জানা যায়নি। সার্ফসাইডের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৩৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply