হিমালয়ের দেশ নেপালে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। সেখানে দৈনিক সংক্রমণে নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। সংক্রমণ মোকাবিলায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি। প্রতিবেশী ভারতের মতো বিপর্যয়ের মুখে এই সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চেয়েছে দেশটির সরকার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নেপালে করোনায় দৈনিক সংক্রমণ সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৭০ জন হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। এই সংকট সামাল দিতে সেনাবাহিনীকে জরুরি স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।’
রাজধানী কাঠমান্ডুসহ দেশের উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিমাঞ্চলে সংক্রমণের মাত্রা অনেক বেড়েছে। এই এলাকাগুলোতে সংক্রমণের হার ৪৭ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতে দেশটিতে একদিকে দেখা দিয়েছে টিকার সংকট অন্যদিকে হাসপাতালগুলো রোগীর চাপ বেড়েছে।
করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি টিকার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছেন। টিকাদান কর্মসূচিতে সরকারের বিশৃঙ্খলার কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে নাগরিকদের। এভাবে আরও ভাইরাস বিস্তার ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফেডারেশন অব রেড ক্রস ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক আলেক্সান্ডার ম্যাথিউ বলেছেন, ‘আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এই মানব বিপর্যয় ঠেকাতে আমাদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’
নেপাল রেড ক্রসের চেয়ারম্যান নেত্র প্রসাদ বলেছেন, ‘আমরা যদি মুহূর্তের মধ্যে প্রাণ কেড়ে নেওয়া এই কোভিডের বিস্তার ঠেকাতে না পারি, তাহলে এই মুহুর্তে ভারতে যা ঘটছে তা হলো নেপালের ভবিষ্যতের ভয়াবহ চিত্র।’
তিনি বলেন, ভাইরাসের দ্রুত বিস্তারের কারণে কাঠমান্ডুতে অনেক মানুষ এখন বাড়িতে অবস্থান করছে। একই সময় হাসপাতাল ও ফার্মেসিগুলো মানুষের দীর্ঘ লাইন। প্রধান শহরগুলোতে লকডাউনের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ওষুধ সরবরাহে প্রভাব পড়েছে।’
Leave a Reply