ফ্রান্সের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশকে শনিবার নতুন করে আংশিক লকডাউনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং ডব্লিউএইচও থেকে অনুমোদনের পর কিছু ইউরোপিয়ান দেশ পুনরায় অ্যাস্ট্রাজেনিকার টিকাদান শুরু করেছে।
এএফপি’র পরিসংখ্যানে বলা হয়, মহামারি এখনো দ্রুত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে, পূর্ববর্তী সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে নতুন করে করোনা সংক্রমন ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভাইরাসের আরো একটি ওয়েভের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে, পোল্যান্ড এবং ইউক্রেন ও ফ্রান্সের কিছু অংশসহ ইউরোপের অনেক দেশে শনিবার থেকে নতুন করে আংশিক লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে।
প্যারিস এবং আরো একাধিক অঞ্চলে এক মাসের জন্য লকডাউন কার্যকরের প্রাক্কালে প্যারিসবাসীরা ট্রেনে চড়ে নগরী ছাড়ছে এবং দোকানগুলোতে কেনাকাটার জন্য ভিড় করছে।
প্যারিসের উপকণ্ঠে ইয়েরেসের মেয়র লকডাউনের বিধিনিষেধ ‘মোটেই বোধগম্য নয়’ উল্লেখ করে এএফপিকে বলেছেন, তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরায় চালু রাখতে বলেছেন।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘কেন আমরা বইয়ের দোকানের চেয়ে সু স্টোরে কোভিড ছড়ানো বেশি গুরুত্ব দেব?’
লকডাউনের নতুন বিধি নিষেধে বুকসপগুলোকে জরুরি বিবেচনা করা হচ্ছে, পরে শুক্রবার দিনের শেষদিকে ফুলের দোকান, চকলেট ও জুতোর দোকান এই জরুরি তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
লকডাউনের কারণে গোটা বিশ্বে নগরীগুলো অবসন্নতায় ধুকছে, ভিয়েনা, সোফিয়া ও মন্ট্রিয়েলে বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে।
অ্যাস্ট্রাজেনিকার টিকা রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করতে পারে এই আতঙ্কে সম্প্রতি অনেক দেশ এই টিকাদান বন্ধ করে দেয়। তবে ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি এটিকে ‘নিরাপদ ও কার্যকর’ ঘোষণা দেয়ার পর শুক্রবার পুনরায় জার্মানি ও ইতালি অ্যাস্ট্রাজেনিকার টিকাদান শুরু করেছে।
Leave a Reply