ভোলার সদর উপজেলায় একটি মসজিদের কবরস্থানে ১৬ বছর আগে মো. হোসেন শিকদার নামের এক ব্যক্তিকে দাফন করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মসজিদের পাশে শ্রমিকরা সড়কের খননকাজের সময় লাশটি উঠে আসে। এ সময় দেখা যায়, লাশ ও কাফনের কাপড় ১৬ বছর পরও অক্ষত রয়েছে। এমনকি যেভাবে কবরে রাখা হয়েছিল, সেভাবেই রয়েছে লাশটি।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ২ নম্বর পূর্ব ইলিশা ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রহমান শিকদার বাড়ি জামে মসজিদের কবরস্থানে। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে খবরে লাশ দেখতে ভিড় জমান এলাকাবাসী। এ নিয়ে স্থানীয় কৌতূহলের শেষ নেই। পরে জানাজা দিয়ে তার মরদেহ অন্যত্র আবার দাফন করেন আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের ধারণা, মৃত ব্যক্তি ছিলেন সহজ-সরল এবং খুব পরহেজগার মুসল্লি। হয়তো মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতের মেহমান করে রেখেছেন। এ জন্য এত বছর পরেও তার লাশ অক্ষত রয়েছে।
স্থানীয়রা আরও বলেন, এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা দেখে অবাক হয়েছি আমরা। এত বছর পরও হোসেন শিকদারের লাশ অক্ষত থাকার রহস্য আল্লাহ ভালো জানেন। তবে হোসেন শিকদার ইমানদার ছিলেন, এটা এলাকার সবাই জানেন।
স্থানীয় শাহরিয়ার জিলন বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শ্রমিকরা ইলিশা সড়কের খননকাজের সময় লাশটি উঠে আসে। পরে দেখি লাশ এবং কাফনের কাপড় অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। হোসেন শিকদার আমাদের প্রতিবেশী ছিলেন।‘
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কবরস্থানের ওই জায়গার ওপর দিয়ে রাস্তার কাজ চলছে। কবরস্থান স্থানান্তর করার সময় একটি কবরে লাশ দেখা গেছে অক্ষত অবস্থায়। লাশের কাফনের কাপড়ও পচেনি।’
ওসি আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমাদের ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন তারাও দেখেছেন। স্থানীয়রা বলছেন, কবরটি ১৬ বছর আগের।’
Leave a Reply