দিনাজপুরের পার্বতীপুরে নিজের ৫ বছরের শিশু সন্তানকে হত্যার অভিযোগে মা রত্না বেগম (২৫)কে গ্রেপ্তার করেছে জিআর পুলিশ। মানসিক ভারসাম্যহীন কি না তা যাচাইয়ের জন্যে মা রত্নাকে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। একটু সুস্থ হলে তাকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, পাঁচ বছর বয়সী নিজ শিশু কন্যা হাসিকে গলা টিপে হত্যার পর নিজেই কোলে করে পুকুরে ফেলে দেয় তার মা রত্না। ফেলে দেয়ার পর পিতার বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের জানান, আমার কন্যা হাসিকে গলা টিপে হত্যা করে পুকুরে ফেলেছি।আপনারা পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করুন।
এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে, দিনাজপুরের পার্বতীপুর পৌর শহরের গুলপাড়া মহল্লায়। শুক্রবার বেলা আনুমানিক সাড়ে তিনটার হাসিনুর সরদার টুংকুর শ্বশুরবাড়ি গুলপাড়ার মহল্লার নুর মোহম্মদ সরদারের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। মা রতœা বেগম গলা টিপে হত্যা করে ৫ বছর বয়সী শিশু কন্যাকে। বিকাল সাড়ে ৪টার সময় স্বজনরা পুকুর থেকে শিশুটির মৃত দেহ উদ্ধার করে।
শিশু কন্যার পিতা হাসিনুর সরদার টুংকু বদরগঞ্জ উপজেলার গোপিনাথপুর সরদার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। কন্যার পিতা হাসিনুর সরদার টংকু ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে সুপার ভাইজার পদে কর্মরত।
স্বজনরা জানান, গর্ভধারিনী মা রত্না বেগম অনার্সের ছাত্রী তখন থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন। সে সময়-অসময় অনেক বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে পরিবারে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রত্না মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি পার্বতীপুরেই দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছিলো।
শুক্রবার রাত ৮টায় পার্বতীপুর রেলওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার শেষে ঘাতক মা রতœাকে গ্রেপ্তার করে। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার পরীক্ষার জন্য পরে স্থানীয় হাস্পাতালে প্রেরণ করে তাকে। এ ঘটনায় এলাকার শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
Leave a Reply