যশোরের চৌগাছা উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নে টাকা ধার দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার চৌগাছা থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মিজানুর রহমান। তিনি নারায়ণপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
নির্যাতিত গৃহবধূর অভিযোগ, ধর্ষণের সময় তার চিৎকারে মিজানুরের স্ত্রী ও ভাতিজারা এগিয়ে আসেন। তারা ঘরের দরজা খুলে মিজানুরকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন এবং তাকে চুরির অপবাদ দিয়ে মারধর করে তাড়িয়ে দেন। এ ছাড়া, ওই ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালীদের মাধ্যমে মীমাংসার নামে আবারও তাকে মারধর করে কিছু টাকা হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, গত বুধবার সমিতির কিস্তি দেওয়ার জন্য এক হাজার টাকা মিজানুরের কাছ থেকে ধার চান। মিজানুর তা দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে ডাকেন। পরে ঘরের ভেতরে ডেকে অনেক টাকার প্রলোভন দিয়ে কুপ্রস্তাব দেন তিনি। এতে রাজি না হলে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করেন। এ সময় চিৎকারে মিজানুরের স্ত্রী ও ভাতিজারা এগিয়ে আসেন। তারা দরজা খুলে মিজানুরকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন এবং তাকে (গৃহবধূকে) দোষারোপ করেন। গৃহবধূকে চুরির অপবাদ দিয়ে কিল-ঘুষি দিয়ে ওই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন তারা। ওই সময় লোক-লজ্জার ভয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি কাউকে বলতে পারেননি বলে জানান নির্যাতিতা।
এদিকে ওই ঘটনার পর গৃহবধূর স্বামী তাকে আর বাড়িতে উঠতে দেননি বলে জানা গেছে। পরে নির্যাতিতা তার বাবার বাড়ি আশ্রয় নিয়ে মায়ের সহায়তায় চৌগাছা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।’ কথা শেষ না হতেই মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন তিনি।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
Leave a Reply