লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় চিকিৎসা না দিয়ে অশোভন আচরণ করে হাসপাতাল থেকে রোগীকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডা. মিনতিয়াজ কবিরের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার রাতে এ ঘটনায় বিচার দাবি করে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রোগীর জামাতা সাংবাদিক কাজী আলতাব হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হাতীবান্ধা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সাংবাদিক কাজী আলতাব হোসেন গতকাল বুধবার দুপুরে তার অসুস্থ শাশুড়ি সামিনা বেগমকে নিয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। নিয়ম অনুযায়ী টিকেট সংগ্রহ করে রোগীকে নিয়ে হাসপাতালটির বহির্বিভাগে মেডিকেল অফিসার ডা. মিনতিয়াজ কবিরের রুমে যান। ওই চিকিৎসক সাংবাদিক কাজী আলতাব হোসেনকে দেখে রেগে গিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। রোগীর অবস্থা ভালো না বলে চিকিৎসা দিতে চিকিৎসককে অনুনয় বিনয় করেন কাজী আলতাব হোসেন। কিন্তু এতেও রাজি হননি ওই চিকিৎসক।
ডা. মিনতিয়াজ কবিরকে চিকিৎসা না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকের কোনো চিকিৎসা হবে না।
কাজী আলতাব হোসেন অভিযোগে জানান, আমার ও আমার রোগীর ওপর উত্তেজিত হয়ে ওঠেন চিকিৎসক। চিকিৎসকের উচ্চ চিৎকারে পাশের রোগীরা ওই রুমের সামনে ভিড় জমায় এবং রোগীর চিকিৎসা দিতে চিকিৎসককে অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে সাংবাদিকতা পেশাকে হেয় করে গালমন্দ করে রোগীর চিকিৎসা না দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যান ডা. মিনতিয়াজ কবির। এসময় অন্য রোগীদেরও ওই চিকিৎসক চিকিৎসা দেননি।
অভিযোগকারী সাংবাদিক কাজী আলতাব হোসেন বলেন, ‘কোনো সাংবাদিক বা তার পরিবারের কারও চিকিৎসা দিবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন ডা. মিনতিয়াজ কবির। এর কারণ জানতে চাইলে আমাদেরকে দ্রুত রুম থেকে বেড়িয়ে যেতে বলেন। এসময় সাংবাদিকতা পেশাকে হেয় করে গালমন্দ করে গোটা সাংবাদিক সমাজ ও তাদের পরিবারকে হেয় করা হয়েছে। এর সুষ্ঠ বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করেন তিনি।’
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাঈম হাসান নয়ন বলেন, ‘একটু হট্টগোল হয়েছিল। যা তাৎক্ষণিক সমোঝোতা করা হয়েছে। তবুও যেহেতু অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply