ফুটবল খেলায় চেয়ার ভাঙার জেরে গতকাল বগুড়ার কাহালু উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বামুজা ও থলপাড়া গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায় বলে জানা যায়।
সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কমপক্ষে ১০ জন জখম হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ৫ জন বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে বামুজা গ্রামের ৪ জন ও থলপাড়ার ১ জন রয়েছেন। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি বর্তমানে কিছুটা শান্ত হলেও এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
কাহালু থানার এসআই খোকন চন্দ্র ও স্থানীয় ইউপি মেম্বার আশিকুর রহমান জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি থলপাড়া আরেফিন যুব সংঘের উদ্যোগে স্থানীয় মাঠে ফাইনাল ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা শেষে কে বা কারা তিনটি চেয়ার ভাঙচুর করে। এ ঘটনার জন্য বামুজা গ্রামের লোকজনকে দোষারোপ করেন আয়োজকরা। বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। গত শনিবার রাতে বামুজা গ্রামের আজাহার আলীকে আয়োজক কমিটির লোকজন কুপিয়ে জখম করলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে।
ওই ঘটনার জেরে গতকাল সকালে থলপড়া গ্রামের লোকজন তাদের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে বামুজা গ্রামের লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে চলে আসার কিছুক্ষণ পর আবারও এই দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধে।
পুনরায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া লোকজন সটকে পড়ে। দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান খান বদের জানান, শনিবার রাতে আজাহারকে জখম করার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করা হয়েছিল। গতকাল বিকাল ৩টার দিকে বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে বসার কথা ছিল; কিন্তু তার আগেই থলপাড়া গ্রামে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে ফুটবল খেলার আয়োজক কমিটির প্রধান আরেফিন মোবাইল ফোনে জানান, বামুজা গ্রামের লোকজন আমাদের ছেলেদের মারতে এলে বিষয়টি বেগতিক দেখে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে স্থানীয় যুবলীগ নেতা বাদল জানান, বামুজার লোকজন সেখানে মারপিট করতে যায়নি। থলপাড়ার লোকজন তিন দফা হামলা চালিয়েছে বামুজা গ্রামের লোকজনের ওপর।
কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, এখন সেখানকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই মামলা করতে আসেনি।
Leave a Reply