সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া সাংবিধানিক বলে মত দিয়েছে সিনেট। তার বিচার শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সিনেট বলছে, প্রথমবার অভিশংসনের মুখোমুখি হলেও নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে অভিশংসন থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু এবার তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
আজ বুধবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়। এতে আরও বলা হয়েছে, ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা দল যুক্তি দিয়েছিল, তিনি হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার পর তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে না। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। সিনেটে ৫৬-৪৪ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পড়েছে ট্রাম্পের বিচারের পক্ষে। ধারণা করা হচ্ছিল রিপাকলিকানরা ট্রাম্পের পক্ষে যাবেন। সেটি হয়েছে, তবে মুষ্টিমেয় রিপাবলিকানরা তার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ফলে অভিশংসন প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবেই চলবে।
সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ উসকে দেওয়ার’ অভিযোগে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিচার কাজ শুরু হলেওেএকে সাক্ষ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ট্রাম্প।
গত ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা ভবন ক্যাপিটল হিলে ভয়াবহ দাঙ্গার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্টের উপর সমর্থকদের উদ্দেশে ‘বিদ্রোহী ভাষণ’ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও ট্রাম্পের পক্ষের লোকজন বিষয়টিকে ‘অযৌক্তিক ও অসংবিধানিক’ বলে অভিহিত করেছেন। আজ এ বিষয়টির বৈধতা যাচাই হবে বলেও জানায় বিবিসি।
অভিশংসনের ঘটনায় ট্রাম্প যদি দোষি সাব্যস্ত হন, তাহলে প্রেসিডেন্ট পদে আর দাঁড়াতে পারবেন না তিনি। এখন পর্যন্ত দুবার তিনি অভিশংসিত হয়েছেন, যে কারণে তার উপর খড়্গ ঝুলছে। তবে, ট্রাম্পকে দোষি সাব্যস্ত করতে হলে সিনেটের ১০০ আসনের দুই-তৃতীয়াংশের মত প্রয়োজন।
Leave a Reply