ঠাকুরগাঁওয়ে টাঙ্গন নদীর পাড় থেকে স্বামী সাইজুল ইসলাম (৪০) ও স্ত্রী আসমা বেগমের (৩৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার আক্চা ইউনিয়নের বরুনাগাঁও হাজীবস্তির এলাকার টাঙ্গন নদীর পাড় থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত সাইজুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের আকচা কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং তার স্ত্রী আসমা বেগম (৩৫)।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশের জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পাওয়া যায়, সদরের আক্চা ইউনিয়নের বরুনাগাঁও হাজীবস্তি এলাকার টাঙ্গন নদীর পশ্চিম পাড়ে একজনের লাশ পড়ে রয়েছে। খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠানো হয়। এরপর সেখান থেকে সাইজুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর ওই টাঙ্গন নদীর পূর্ব পাশে নিহত সাইজুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা বেগমের গলাকাটা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়।’
ওসি আরও বলেন, ‘সুরতহাল রিপোর্ট করার সময় নিহত সাইজুল ইসলামের মুখে কীটনাশকের গন্ধ পাওয়া গেছে। আর দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা বেগমকে গলাকাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে। এছাড়া নিহত সাইজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আসমা বেগমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নিহত সাইজুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী মোছা. বেগম ও দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা বেগমের মধ্যে বসতভিটা নিয়ে কোন্দল চলছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম স্ত্রী তার দুই মেয়ের নামে স্বামীকে তার বসতভিটা লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়, অন্যদিকে দ্বিতীয় স্ত্রী সেই বসতভিটা তার ছেলের নামে লিখে দেওয়ার জন্য সাইজুলকে চাপ দিতে থাকে। এ বিষয়টি নিয়ে তাদের পারিবারিকভাবে কোন্দল চলছিল। সেই কোন্দল থেকে এই ঘটনা ঘটেছে বলে আমি মনে করি।’
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনাটি ঘটতে পারে। তারপর বিষয়টি আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা তদন্ত করছি।’ সেই সঙ্গে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
Leave a Reply