উইঘুর ও অন্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর চীন গণহত্যা চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। গতকাল মঙ্গলবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এই নেতা।
আজ বুধবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের শেষ কর্মদিবসের আগে এমন কথা বলেন মাইক পম্পেও। তবে তার এই কথার সঙ্গে একমত হয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্টমন্ত্রী এন্টনি ব্লিংক।
উইঘুর ও অন্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চীন শতাব্দীর ভয়াবহতম অপরাধ সংগঠন করেছে বলে মন্তব্য করেন পম্পেও। এমন অপরাধকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
পম্পেও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি সেখানে গণহত্যা চলছে। উইঘুরদেরকে ধ্বংস করে দেওয়ার অব্যাহত প্রচেষ্টা দেখতে পাচ্ছি আমরা।’
ট্রাম্প প্রশাসন এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছে বলে উল্লেখ করেন পম্পেও। অপরাধের সঙ্গে জড়িত সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ উইঘুর ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় উৎপাদিত পণ্য আমেরিকার বাজারে প্রবেশে নিষিদ্ধের কথা উল্লেখ করেন পম্পেও।
ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার আগে এক বিবৃতিতে মাইক পম্পেও বলেন, চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি দেশটির মুসলমানসহ অন্য সংখ্যালঘুদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন চালিয়ে আসছে।
এমন নির্যাতন বন্ধ করতে চীনের ওপর চাপ বাড়াতে একটি আইন প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসে নেওয়া হয়। প্রস্তাবটি এখনো সিনেটের বিবেচনার অপেক্ষায়।
ক্ষমতার শেষ সময়ে এমন ঘোষণার ফলে চীনের ওপর পরবর্তী মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ক্রমাগত চাপ অব্যাহত থাকবে বলে মনে করেন পম্পেও।
উইঘুর ও অন্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চীন গণহত্যা সংগঠন করেছে বলে পম্পেওর পর্যবেক্ষণের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে যাওয়া অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
পম্পেও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চীনের হুমকি কোনো ভুয়া বিষয় নয়। তিনি আশা করেন, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ চীনের কমিউনিস্ট পার্টির হুমকি সম্পর্কে সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারবে।
বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রকে একটি ব্যতিক্রমী জাতির দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন পম্পেও। তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন মধ্যপ্রাচ্য ও চীন নিয়ে যেসব কাজ করেছে, তার জন্য তিনি অহংকার বোধ করেন।
পম্পেও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন কিছু করেনি, যার জন্য কারও কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। মহত্ত্ব ও ব্যতিক্রমের জন্য যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করতে পারে।
Leave a Reply