সহিংসতা উস্কে দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কংগ্রেসে অভিশংসনের প্রস্তাব আনতে যাচ্ছেন ডেমোক্র্যাটরা। এতে বিকার নেই ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্টের। প্রস্তাবটিকে তিনি ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। এর আগে মন্তব্য করেন ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার আগে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তার পুরোপুরি ঠিক আছে।
ট্রাম্পের এমন হাসির পেছনে কারণ আছে। ব্যাপারটা হলো, মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি যে সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী কার্যকরের কথা বলেছেন, তা করবেন না বলে জানিয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। কিন্তু, চার রিপাবলিকান নেতা সিনেটে ট্রাম্পের অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেবেন বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন।
২০ জানুয়ারি ট্রাম্পকে তার ক্ষমতা ছাড়তেই হবে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি ক্ষমতা ছাড়ার আগে তার অভিশংসনের বিষয়ে আগামী বুধবার ভোটাভোটি হতে পারে। এ বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি এটা (অভিশংসনের প্রস্তাব) আমাদের দেশের জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনবে এবং ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি করবে। আমি কোন সহিংসতা চাই না।’
মেক্সিকো সীমান্তে তোলা দেয়াল দেখার জন্য টেক্সাসে যাওয়ার আগে তিনি আরও বলেন, ‘২৫তম সংশোধনীতে আমার জন্য কোনো ঝুঁকি নেই। এটা হাস্যকর। এটা উল্টো জো বাইডেন এবং তার প্রশাসনের পেছনেই ফিরে আসবে।’
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে এ চিঠিতে পেন্স বলেন, ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ২৫তম সংশোধনী কার্যকর করবেন না। তিনি আরও বলেন, ‘এটি ভয়ংকর নজির তৈরি করবে।’
আইনপ্রণেতা জ্যামি রাসকিনের নেতৃত্বে নয়জন আইনপ্রণেতাকে নিয়ে অভিশংসন কমিটি গঠন করেছেন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তারা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের জন্য যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন।
এদিকে নিউইয়র্ক টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে রিপাবলিকান নেতা ও কেন্টাকির মিচ ম্যাককনেলের দেওয়া বক্তব্য তুলে ধরেছে। মিচের বলেন, ‘ডেমোক্র্যাটরা যে অভিশংসনের প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে, তাতে তিনি খুশী। এ সাজার ফলে রিপাবলিকান দল থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপসারণ করা সহজ হবে।
পেনসিলভানিয়া থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ব্রায়ান ফিটজপ্যাট্রিক ষমতার বাকি মেয়াদে ট্রাম্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য কংগ্রেসে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন।
২০ জানুয়ারি দুপুরের পর থেকে আর প্রেসিডেন্ট থাকবে না ট্রাম্প। ক্ষমতায় নেই—এমন একজন প্রেসিডেন্টের অভিশংসন নিয়ে আইনপ্রণেতাদের কংগ্রেসে বিতর্ক করার কোনো নজির যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নেই।
Leave a Reply