চাকরির দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানকে নিজ বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কমিটির নেতা-কর্মীরা। তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরকেও অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আজ সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবনে ওই চারজনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
জানতে চাইলে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি সব ধরনের নিয়োগ বাতিল রাখার নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও আজ এডহকে একজনের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কেন চাকরি হচ্ছে না। সেটি জানতেই নেতা-কর্মীরা গিয়েছিলেন।’
তবে উপাচার্য বাসভবনের ফটকে তালা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমান ছাত্রলীগের কেউ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে একটি চিঠি দিয়ে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। আমরা মনে করি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই চিঠি ১৯৭৩ সালের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অ্যাক্ট আছে সেই অ্যাক্টের পরিপন্থী। রাবি উপাচার্য যদি দুর্নীতি করে থাকেন, তাহলে তাকে কেন অপসারণ করা হচ্ছে না? অপসারণ না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ করে রাখা হয়েছে।’
জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে একজন প্রতিবন্ধী ছেলেকে চাকরি দেওয়ার জন্য। যেহেতু নিয়োগে বন্ধে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশ আছে। তাই আমি বিষয়টি সচিবকে জানিয়েছি, তিনি নিয়োগ দিতে বলেছেন এবং নিয়োগ দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এর প্রেক্ষিতে সন্ধ্যার দিকে তারা এসে চাকরির দাবি করেছে। কিন্তু আমি জানিয়েছি, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়োগ বাতিল রাখা হয়েছে। এখন আমি কোনো নিয়োগ দিতে পারব না।’
Leave a Reply