ভূমধ্যসাগরীয় দেশ লিবিয়া। তেল সমৃদ্ধ স্বনির্ভর অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় একটি অগ্রসর দেশ। নাগরিকদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত। শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা বাসস্থানের উন্নত ব্যবস্থা গোটা আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে সবর্বোত্তম। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইউরোপের অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে।
২০১১ সালে আরব বসন্তের নামে বিদ্রোহ উসকে দিয়ে, জাহাজবোঝাই অস্ত্র পাঠিয়ে বিদ্রোহীদের শক্তি যুগিয়ে এবং সর্বশেষ মার্কিন, ব্রিটিশ আর ফরাসি বিমানবাহিনীর টানা ছ’মাস ধরে সমন্বিত হামলার মাধ্যমে পতন ঘটানো হয় কর্নেল গাদ্দাফির সরকারকে। ২০১১ সালের ২০ অক্টাবর চরম বর্বরতার সাথে হত্যা করা হয় গাদ্দাফি, তার পুত্র ও তার সেনাপ্রধানকে। সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো সেদিন চরম উল্লাসে স্বাগত জানিয়েছিল লিবিয়ার এ পতনকে।
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিনি সামজ্যবাদের লুণ্ঠন নীতির ঘোর বিরোধিতা করতেন গাদ্দাফি। প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে দৃঢ় সুসম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন আর ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোর সাথে করেছিলেন মিত্রতা। এগুলো ছিল পশ্চিমা শক্তির রোষের রাজনৈতিক কারণ।
মৃত্যুর আগে গাদ্দাফি তার জন্মস্থান সিতরেতে শেষ ভাষণে দেশবাসীকে সতর্ক করে বলেছিলেন, লিবিয়ার তেল সম্পদ ও সমৃদ্ধির ওপর নজর পড়েছে সাম্রাজ্যবাদী শকুনদের। ওরা লিবিয়াকে ছিঁড়ে খেতে চায়। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের সম্পদ রক্ষা করি। তিনি নিজেও শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করার আঙ্গীকর ব্যক্ত করেছিলেন সেদিন।
ইরাকে সাদ্দাস হোসেনকে উৎখাতের পর ২০০৮ সলে দামেস্কে আরব লীগের শীর্ষ সম্মেলনে লিবিয়র নেতা গাদ্দাফির ভাষণ আজ নতুন করে মনে করিয়ে দিচ্ছে আরবদের বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্বের ষড়য়ন্ত্রের কথা। সেদিন গাদ্দাফি আরব নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, আপনারা যদি ঐক্যবদ্ধ হতে না পারেন, তাহলে এর পর অন্য আরব দেশেরও ইরাকের মতো পরিণতি হতে পারে এমনকি আপনি নিজেও সাদ্দামের মতোই নিহত হতে পারেন।
মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক পর্যবেক্ষকরা আজ গাদ্দাফির ওই ভবিষ্যদ্বাণীর সত্যতা আনুধাবন করছেন।
কেমন আছে লিবিয়া?
বিগত নয় বছর ধরে চলমান গৃহযুদ্ধে ক্ষত-বিক্ষত দেশটিতে একটি কেন্দ্রীয় শাসনের অনুপস্থিতে চরম নিরাপত্তাহীনতা আর ব্যাপক দারিদ্রের মাঝে বেঁচে থাকা লিবিয়ার মানুষেরা আজ নিজেদের অভিশাপ দিচ্ছে, কেন তারা সেদিন গাদ্দাফির বিরুদ্ধে বিদ্রোহকে মেনে নিয়েছিল।
লিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক রাজা ইদ্রিসেরর বিরুদ্ধে ১৯৬৯ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে লিবিয়ার শাসনভার গ্রহণ করেছিলেন কর্নেল গাদ্দাফির নেতৃত্বে বিপ্লবী সরকার। গাদ্দাফির সরকার প্রথমেই পশ্চিমা তেল কোম্পানির দখলে থাকা লিবিয়ার সবগুলো তেলখনি জাতীয়করণ করে নেন। আর তেলবিক্রির মুনাফা প্রত্যেক নাগরিকের মধ্যে বণ্টন করার একরকম সমাজতান্ত্রিক নীতি গ্রহণ করেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যাপকভাবে উচ্চাভিলাসী প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। অবকাঠামো নির্মাণ, বিদ্যুত উৎপাদন, দরিদ্র নাগরিকের জন্য আবাসন এবং মৌলিক খাদ্য চাহিদা নিশ্চিতকরণ- এসব ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় অগ্রগতি অর্জন করে লিবিয়া। সামাজিকভাবেও লিবিয়া দ্রুতই এগিয়ে যায় একটি সমৃদ্ধশালি দেশ হিসেবে।
২০১০ সালে জাতিসঙ্ঘ উন্নয়ন সংস্থার হিসাবে ৮৮.৪ ভাগ স্বাক্ষরতার হার,৭৪.৫ বছরের গড় আয়ু এবং নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত করে লিবিয়া তখন গোটা আফ্রিকা মহাদেশ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্য এগিয়ে থাকা উচ্চ-উন্নয়নশীল একটি দেশ। আর এসবই হয়ে দাঁড়ায় পশ্চিমাদের চক্ষুশূলের কারণ।
লিবিয়ায় রয়েছে ছোটবড় ১৪০টি গোত্র। এদের প্রত্যেকটির রয়েছে স্বতন্ত্র ঐতিহ্য এবং স্বতন্ত্র গোত্র ইতিহাস। আর এটাই লিরিয়ার জনগোষ্ঠীর অনৈক্যের বড় কারণ।
বর্তমানে লিবিয়ার দু’টি অঞ্চল শাসন করছে দু’টি অলাদা সরকার। রাজধানী ত্রিপোলিতে ক্ষমতায় রয়েছে জাতিসঙ্ঘ স্বীকৃত গভর্নমেন্ট অব ন্যশনাল একর্ড (জিএনএ) সরকার। আর পুব দিকের বন্দর নগরী অল-বায়দাতে রয়েছে সাবেক জেনারেল খলিফা হাফতারের আরেটি সমান্তরাল সরকার।
ওদিকে বিভিন্ন তেল ক্ষেত্র দখল নিয়ে যুদ্ধলিপ্ত রয়েছে কয়েকটি মিলিশিয়া বাহিনী।
আধুনিক অস্ত্রসজ্জিত হয়ে যুদ্ধরত মিলিশিয়া বাহিনীর নিজেদের মধ্যে এবং সরকারি বাহিনির সাথে ধারাবাহিক সঙ্ঘাতে প্রতিদিন মানুষ মরছে, সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। চলাচল আর পণ্য পরিবহন ব্যহত থাকায় মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ আর আতঙ্কের মাঝে দিন কাটাচ্ছে।
জাতিসঙ্ঘের হিসাব মতে, চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত তিন মাসে লিবিয়ায় সামরিক সঙ্ঘাতে মারা গেছে ১০২ জন বেসামরিক নাগরিক আর আহত হয়েছেন ২৫৪ জন। এবছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় পরের তিন মাসে ১৭২ শতাংশ বেড়েছে মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা।
লিবিয়ার নাগরিকদের তাদের দেশের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার নেই। তাদের প্রধান সম্পদ তেলখনি এমন কী তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপরও নেই তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ। এগুলো পরিচালিত হচ্ছে বিদেশীদের নির্দেশে ।
তেল মজুদের দিক থেকে লিবিয়া হচ্ছে বিশ্বের প্রধান দশটি তেল ভাণ্ডারের একটি। আর অফ্রিকার মধ্যে সর্ববৃহৎ। ২০১০ সালের হিসাবে লিবিয়ার তেল মজুদ ছিল ৪৬.৪ বিলিয়ন ব্যারেল। ওই সময় দৈনিক উত্তোলন হতো ১.৬ মিলিয়ন ব্যারেল। নতুন কোনো তেল ক্ষেত্র আবিষ্কার না হলেও ওই পরিমাণ মজুত দিয়ে লিবিয়া ৭৭ বছর চলতে পারতো।
এ ছাড়া লিবিয়ার রয়েছে ১.৩ ট্রিলিয়ন কিউবিক মিটার প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ। আরো রয়েছে রফতানিযোগ্য খনিজ লবণ, জিপসাম, পটাশিয়াম, ও ম্যাগনেসিয়ামসহ নানা খনিজ পদার্থের পর্যাপ্ত মজুদ।
বিশ্ববাজারে লিবিয়ার তেলের চাহিদা বেশি কারণ সেখানে উৎপাদন ব্যয় সর্বনিম্ন। লিবিয়ার তেলকে বলা হয় সুইট ক্রুড। কারণ তাতে রয়েছে কম পরিমাণে সালফার। ইউরোপের দেশগুলোতে শতকরা ১১ ভাগ তেল আসে লিবিয়া থেকে। সেখানে লিবিয়া হচ্ছে তৃতীয় বৃহৎ তেল সরবরাহকারী।
লিবিয়ার এসব সম্পদের প্রতি পশ্চিমা লুটেরাদের নজর ছিল আগ থেকেই। গাদ্দাফিকে উৎখাতের পর এসবের প্রতি লোলুপ হয়ে উঠেছে প্রতিবেশী মিসর, তুরস্ক ও কাতার। তারাও বিভিন্ন যুদ্ধবাজ মিলিশিয়া গোষ্ঠির প্রতি সমর্থন ও অস্ত্র সহযোগিতা বজায় রেখে সঙ্ঘাতকে প্রলম্বিত হতে সহায়তা করছে।
জাতিসঙ্ঘ সহযোগিতায় বিবাদমান গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সমঝোতার উদ্যোগও ব্যর্থ হয়েছ। জাতিসঙ্ঘ মিশনের প্রধান গত মার্চ মসে হতাশ হয়ে পদত্যাগ করায় সঙ্কট আরো প্রকট হয়েছে।
এ অবস্থায় পশ্চিমা শক্তি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যে সঙ্কট সমাধানের প্রস্তাব করেছে যেন বানরের পিঠে ভাগের মতো বড় অংশটি তাদের ভাগে আসে। যেন তাদের স্বার্থ রক্ষা হয়। ইতোমধ্যে তুরস্ক সিরিয়া থেকে ভাড়াটে সৈন্য সংগ্রহ করে তাদের লিবিয়াতে পাঠিয়েছে ত্রিপোলির জিএনএ সরকারকে সহায়তার জন্য। তুরস্ক সামরিক সরঞ্জামাদিসহ দক্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের একটি দলও পাঠিয়েছে বিদ্রোহী এলএনএ ফোর্সকে পরাজিত করতে।
অন্যদিকে, খলিফা হাফতারের এলএনএ বাহিনীর সমর্থনে যুদ্ধ বিমানসহ ভাড়াটে যোদ্ধা পাঠিয়েছে রাশিয়া। যদিও লিবিয়ার রক্তক্ষয়ী সঙ্ঘাতে রাশিয়ার উপস্থিতি অস্বীকার করছে মস্কো।
হাফতারের বাহিনী বর্তমানে লিবিয়ার তেল সমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলের সিতরে শহরে তাদের শক্তি কেন্দ্রীভুত করে অবস্থান করছে। হাফতার বাহিনীকে প্রকাশ্য সমর্থন দিচ্ছে মস্কো, কায়রো ও আবুধাবি। প্রতিবেশী মিসর এই মধ্যে কয়েক দফা হুমকি দিয়েছে হাফতারের পক্ষে তেল খনি দখলে রাখতে তারা যুদ্ধ বিমান পাঠাবে।
লিবিয়ায় শান্তি উদ্যোগ : বানরের পিঠাভাগ
চরম উত্তেজনাকর অবস্থায় গত জুলাই মাসে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেজ হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, লিরিয়ার যুদ্ধাবস্থা সাঙ্ঘাতিক বিপদ্জনক পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। এ অবস্থায় তিনি লিবিয়া সঙ্কটের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল দেশ ও শক্তির প্রতি উত্তেজনা প্রশমনের আহবান জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, লিবিয়ায় নিযুক্ত জাতিসঙ্ঘ মিশন সেখানে প্রাণহানি ও রক্তপাত বন্ধ করতে একটি রাজনৈতিক সমঝোতার চেষ্টা করছে।
এর আগে, লিবিয়ায় শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে গত জুন মাসে কায়রোতে মার্কিন-সমর্থিত প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, লিবিয়ার বিদ্রোহী নেতা জেনারেল হাফতার ও লিবিয়ার পার্লামেন্ট স্পিকার সালেহ একটি উদ্যেগ শুরু করে। এ ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগের অংশ হিসেবে ৮ জুন থেকে অস্ত্রবিরতি হবার কথা ছিল।
ত্রিপক্ষীয় সভা শেষের যৌথ ঘোষণায় লিবিয়ায় আবস্থানরত সকল বিদেশী যোদ্ধার তৎপরতা বন্ধ করে অস্ত্রশস্ত্র এলএনএর কাছে সমর্পণ করে লিবিয়া ত্যাগ করার শর্ত দেয়া হয়। এ ছাড়া, সকলপক্ষের প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি আন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন, নতুন সংবিধান প্রণয়ন ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনেরও ঘোষণা দেয়া হয়।
এরকম অবস্থায় ঘটনা প্রবাহে মস্কো এবং আঙ্কারার মধ্য কিছু একটা রফা দফা হলেও হাফতার সমর্থক সংযুক্ত আরব আমিরাত তা মেনে নেবে বলে মনে হয় না। কেননা তাদের স্বার্থ ভিন্ন। সম্প্রতি তুরস্কের সাথে ইতালির সঙ্ঘাতের মাঝে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইতালির সাথে যৌথ সামরিক মহড়ার অংশ নিতে বিমান বাহিনী পাঠিয়েছে।
এদিকে, গত ১১ আগষ্ট কায়রোতে আনুষ্ঠিতব্য সর্বশেষ শান্তি আলোচনা বৈঠকে অংশ নিয়ে লিবিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড নরম্যান জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইচ্ছা আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য তার ভাগ্যপরীক্ষার নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত লিবিয়ার সঙ্কট ফ্রিজে তোলা থাকুক। কারণ লিবিয়া সঙ্কট এ মুহূর্তে ট্রাম্পের অগ্রাধিকার তালিকায় নেই।
এ অবস্থায় লিবিয়ায় নিযুক্ত জাতিসঙ্ঘ মিশন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লিবিয়ার যুদ্ধরত প্রধান দু’ পক্ষ এবং তাদের সমর্থকদের ওপর চাপ দিচ্ছে যাতে তারা একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় উপনীত হয়।
মার্কিন প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ব্রিয়েন সিত্রেক আঞ্চলকে অস্ত্রমুক্ত করা ও লিবিয়া থেকে সকল বিদেশী সৈন্যের অপসারণ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
লিবিয়ায় জাতিসঙ্ঘ মিশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্টেফানি উইলিয়ামস লিবিয়ার দুই প্রতিপক্ষকে সঙ্ঘাত বন্ধ করে দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
লিবিয়ায় নিযুক্ত অষ্ট্রিয়ার সাবেক সামরিক উপদেষ্টা, উলফগ্যাংগ পুজতাই পরমর্শ দিয়েছে, লিবিয়ায় সঙ্ঘাত ঠেকাতে যুদ্ধরত বাহিনীর উভয়পক্ষের অবস্থানের মাঝখানে একটি নিরাপদ অঞ্চল বা বাফার জোন সৃষ্টি করতে হবে। তখন উভয়পক্ষই বুঝতে পারবে তাদের নিজেদের মধ্যে সমঝোতা অর্জন জরুরি। কারণ, তারা কেউ কাউকে পরাস্ত করতে সক্ষম নয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নকে এ ক্ষেত্রে বিশষ ভূমিকা রাখার পরামর্শ দিয়েছে উলফগ্যাংগ।
তাছাড়া, লিবিয়ায় যুদ্ধমান দু’পক্ষের মদতদাতা তুরস্ক মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওপর বিশেষ প্রভাব খাটাতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাই একটি যুদ্ধ বিরতিতে পৌঁছাতে মার্কিনের এ ভূমিকা বিশেষ কার্যকর হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন এই ইউরোপীয় সমর চিন্তাবিদ।
এবার দেখার পালা রক্তাক্ত লিবিয়ার ঘোলা পানিতে কারা কতটা মৎস্য শিকার করতে পারে।
Leave a Reply