যুক্তরাষ্ট্রে চলতি সপ্তাহে দীর্ঘমেয়াদি মর্টগেজ রেট ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। এর ফলে ইতোমধ্যেই বাড়ি কেনায় সমস্যায় থাকা লোকজন আরো কঠিন অবস্থায় পড়ে গেছে। মর্টগেজ বায়ার প্রতিষ্ঠান ফ্রেডি ম্যাক বলেছে, ৩০ বছর মেয়াদি গড় হার গত সপ্তাহের ৬.৯৬ ভাগ থেকে বেড়ে ৭.০৯ ভাগ হয়েছে। এক বছর আগে তা ছিল ৫.১৩ ভাগ। এ নিয়ে টানা চার সপ্তাহ ধরে গড় হার বাড়ল। আর তা ২০০২ সালের এপ্রিলের পর থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। ওই সময় গড় হার ছিল ৭.১৩ ভাগ। সর্বশেষ গত নভেম্বরে গড় হার ৭ ভাগের বেশি ছিল। ওই সময় তা হয়েছিল ৭.০৮ শতাংশ। উচ্চ হারের জন্য ঋণ গ্রহণকারীকে প্রতি মাসে অতিরিক্ত কয়েক শ’ ডলার দিতে হবে। ফলে অনেক আমেরিকানের জন্যই বাড়ি কেনা কঠিন হয়ে পড়েছে। আর তা কেবল ৩০ বছর মেয়াদির জন্যই হয়নি, ১৫ বছর মেয়াদি মর্টগেজের ক্ষেত্রে গড় হার বেড়েছে। উল্লেখ্য, ১৫ বছরের ফিক্সড-রেট মর্টগেজের ক্ষেত্রে গত সপ্তাহের ৬.৩৪ ভাগ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬.৪৬ ভাগ। এই হার বাড়ার কারণ সম্পর্কে ফ্রেডি ম্যাকের প্রধান অর্থনীতিবিদ স্যাম খাতার বলেছেন, ‘অর্থনীতি গত ১০ মধ্যে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো করেছে। এর ফলে মর্টগেজ রেট বাড়ছে।’ তিনি বলেন, ‘স্বচ্ছলতার কারণে চাহিদা বাড়ছে।’
গ্লোবাল পিস অ্যামব্যাসেডর স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদকে সংবর্ধনা দিয়েছে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলাবাসী। সম্প্রতি উপজেলার আলীগঞ্জ বাজারে অন্ুিষ্ঠত ওই সংবর্ধনায় স্থানীয় বিপুল সংখ্যক মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। প্রসংঙ্গত, ভিয়েতনাম থেকে নাইট অফ সেন্ট জন অফ জেরুজালেম উপাধিতে ভূষিত হওয়ার পর সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশে যান। সংবধনা সভায় উপস্থিত সিলেট বিভাগের তৃণমূল মানুষের উদ্দেশ্যে স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদ বলেন, আমরা সবাই এক দেশের এক পরিবারের মানুষ। আমাদের এখানে শুয়ে আছেন, হযরত শাহজালাল (র.) সহ তার সঙ্গীয় ৩৬০জন ধর্ম প্রচারক। তারা আমাদেরকে যে নৈতিকতা শিখিয়েছেন, তার প্রথমটাই হচ্ছে ভালোবাসা। তাদের সেই শিক্ষাই আজ এই ভূমির সাধারণ মানুষ অনুসরণ করেছে। এই জন্য আপনারা সেরা মানুষ। কেবল ডিগ্রি থাকলেই শ্রেষ্ঠ মানুষ হয়ে যায় না। অনেক বড় বড় ডিগ্রি অর্জন ও অনেক ক্ষমতা পাবার পরও গ্রামের মানুষের মতো এই চেতনা অর্জন করতে পারে না। আপনাদেরকে ভালোবাসা ও আত্ম মর্যাদাবোধে কেউ উদ্বুদ্ধ করেনি, আপনারা জন্ম থেকেই এই শক্তি লাভ করেছেন, সেটিই অনুশীলন করে চলেছেন। কবীর মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আবু বকর, রফিক মিয়া ও হাজী মোখলেসুর রহমান প্রমূখ। আবু জাফর মাহমুদ সিলেটের দক্ষিণ ছাতকের সমাবেশ স্থলকে প্রানপ্রিয় বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য একটি জনপদ উল্লেখ করে বলেন, আল্লাহ এখানে আমাকে আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছেন, এটা আমার কোনো পরিকল্পনার অংশ নয়। গত বন্যায় আপনাদের সাথে মহান আল্লাহ তায়ালা যে আত্মীয়তা গড়ে দিয়েছেন, আমি খুব চেয়েছি আমার এই আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে। আমি বরাবরই বিশ্বাস করি, ভালোবাসার দায়িত্বের ওপরে কোনো দায়িত্ব নেই। আপনাদের সঙ্গে যে সম্পর্কটা গড়ে উঠেছে এই সম্পর্কটা হচ্ছে ভালোবাসার। মুুক্তিযুদ্ধের ১ নং সেক্টরের মাউন্টেন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার আবু জাফর মাহমুদ বলেন, বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী সাহেবের কমান্ডে, পরিকল্পনায় ও নির্দেশে মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। এই যুদ্ধের আমি একজন সৈনিক। আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধ যেমন কোনোদিন শেষ হয় না, একজন মুক্তিযোদ্ধারও কোনো অবসর নেই। যতক্ষণ জীবিত ততক্ষণই যুদ্ধ চলবে। এই যুদ্ধ হচ্ছে প্রেমের যুদ্ধ, সম্পর্কের যুদ্ধ। যদি আমার মধ্যে ভালোবাসা থাকে আপনাদের সঙ্গে, আমার প্রিয় মানুষের সঙ্গে দেখা হবেই। ড. মাহমুদ ২০২২ সালের বন্যায় ছাতকের জনগোষ্ঠির দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, বন্যা শুরু হওয়ার দু’দিন আগে আমি কবীর ভাইয়ের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক যা কিছু সম্বল ছিল পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। বন্যা শুরুর অনেক আগেই বুঝেছিলাম, হাওরের মানুষের অনেক কষ্ট হবে। আমার কাছে সংবাদ ছিল, এই সিলেটে উপরের অঞ্চল থেকে পানি পাঠানো হবে, দরজাটা খুলে দেয়া হবে। যারা জেনেছিলেন তাদের অনেকেই হয়তো জেনেও চুপ করে ছিলেন। আমি জেনেই আমার সাধ্যমত ব্যবস্থা নিয়েছি, এখানেই পার্থক্য। স্যার আবু জাফর মাহমুদ ছাতকের প্রিয়মুখ কবীর মিয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, একজন সৎ মানুষ পেয়েছি। যোগ্য মানুষ। উপযুক্ত নেতা। কর্মঠ মানুষ। আমি তার মাধ্যমেই শীতের সময় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছি। আমি একা ছিলাম কিন্তু পরে তা হয়ে উঠলো একটি পরিবার। আস্তে আস্তে যুক্ত হয়ে গেল কবীর ভাইয়ের আরেক ভাই লিলু মিয়া, জিতু মিয়া, বোন শিউলী বেগমসহ সবাই। ড. মাহমুদ ছাতক বাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক দলের নই। আপনাদের কারো সঙ্গে আমার কোনো পারিবারিক সম্পর্ক নেই। পরিবেশ ও প্রকৃতি যারা ধংস করছে, তারা আমাদের নিঃশ্বাস নেবার শক্তিকে কেড়ে নিচ্ছে। অক্সিজেন পাওয়ার উৎস্যগুলো ধংস করে দিচ্ছে। একজন মানুষকে গুলি করে হত্যা করলে সে ঘাতক হয়, তাহলে যারা শত শত মানুষকে হত্যা করে পরিবেশ ধংস করে তারা কী? তার এই প্রশ্নের জবাবে উপস্থিত দর্শকরাই সমস্বরে বলেন ‘গণ হত্যাকারী’। ‘তারা গণহত্যাকারী’।
নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ট্রাফিক ইনফোর্সমেন্ট এজেন্ট পদে কর্মরত প্রায় ২৬০০ সদস্যের ইউনিয়ন সিডব্লিউএ লোকাল-১১৮২-র সভাপতি সাইদ রহিম দুদুর বিরুদ্ধে চলমান যৌন হয়রানির মামলাটি অবশেষে সেটেল্ড হলো। মামলায় তিনি হেরে গেছেন। গত ৮/০৮/২০২৩ তারিখে হওয়া সেটেলমেন্টে মামলার বাদী মিস গেইল রামরুপকে ৩১৫,০০০ ডলার দেবার সিদ্ধান্ত হয়। ২০১৯ সালে ৬৭ বছর বয়সী দুদুর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে ৬ লাখ ডলার ক্ষতিপুরণ দাবী করে ম্যানহাটান সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি দায়ে করেন তারই অফিস সেক্রেটারি গেইল রামরুপ। মামলার রায়ের ফলে তার চাকুরী চলে যাবে, অবসর ভাতা পাবেন না, ডিপার্টমেন্টের সুনাম ক্ষুন্ন হবে, তার সংসার ও সামাজিক সম্মান ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এসব মানবিক কারণে আদালতের বাইরে ক্ষতিপূরণ দিয়ে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে আদালতের আদেশ পাওয়ার জন্য ২০১৯ সাল থেকে সাঈদ রহিমের এটর্নী বারবার আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের কাছে। দীর্ঘ ৩ বছর পর গত ১২/৯/২০২২ তারিখে বিচারক ডেভিড কোহেন এক আদেশে সেটেল্ড করার অনুমতি দেন। ২০১৯ সালে এ মামলাটি হবার পর সভাপতি রহিমকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে নতুন দায়িত্ব গ্রহন করেন স্টাফ রিপ্রেজেনটেটিভ রিকি মরিসন। এই ইউনিয়নে চলমান অর্থনৈতিক অনিয়ম বিষয়ে ফরেনসিক অডিট করান রিকি মরিসন। সেখানে তারা ৩৭টি অনিয়ম পায়। সিডব্লিউএ-র অডিট এবং তদন্তে রহিমের বিরুদ্ধে ৩৭টি সুনির্দিষ্ট অপরাধ পাওয়া যায়। এরপর গত ৬/০৫/২০২০ তারিখে সিডব্লিউএ- প্রেসিডেন্সিয়াল মিটিংয়ে এই অভিযোগ গুলো আলোচনা করে রহিমকে দোষী প্রমাণিত করে।
নিউইয়র্কে একটি ছোট বিমান অবতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু এমন সময় হুট করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সেই বিমানের পাইলট। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্ক দেখা দেয়। তবে সেইসময় হাল ধরেন এক নারী যাত্রী।
নিউইয়র্কে উৎসবমুখর পরিবেশে গতকাল শুক্রবার শুরু চার দিনের ‘নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা’র নাম পরিবর্তন করে ‘নিউইয়র্ক বাংলা আন্তর্জাতিক বইমেলা’র ঘোষণা দেওয়া হলো। ‘ভারত, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, জার্মানী, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের বাঙালি
নিউইয়র্ক সিটিতে বার্ধক্য সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। আবার তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে জানা গেছে। ফলে দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের দিকে নজর দিতে হবে। বার্ধক্য নিয়ে নগর স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারির সময় অপেক্ষাকৃত বয়স্ক এবং অশ্বেতাঙ্গ লোকজন বেশি অসুস্থ ও মৃত্যুর মুখে পড়েছে। নগর কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, নিউইয়র্ক সিটির সাড়ে ৮৬ লাখ মানুষের মধ্যে ২০ ভাগের তথা ১৭ লাখ ৩০ হাজারের বয়স ৬০ বছর বা এর বেশি। তবে ২০৪০ সাল নাগাদ বয়স্কদের সংখ্যা ৪০ ভাগ তথা ১৮ লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, ওই সময়ে ‘বেবি বুমার’ প্রজন্ম সিনিয়র সিটিজেনে পরিণত হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বার্ধক্য বৈষম্য নিউইয়র্কের প্রবীণদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, তাদের চিকিৎসা খরচ বাড়িয়ে দিতে পারে। আবার বয়স নিয়ে ইতিবাচক ভাবনায় স্বাস্থ্যগত উপকার থাকে। স্বাস্থ্য বিভাগ কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবের আগে ২০১৯ সালে একটি জরিপ করেছিল। ১২ শ’ লোকের ওপর পরিচালিত ওই জরিপটি প্রকাশিত হয়নি। স্বাস্থ্য বিভাগ ওই জরিপ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, ৬০ ভাগ অপেক্ষাকৃত তরুণ মনে করে, নিউইয়র্ক সিটিতে অপেক্ষাকৃত বয়স্ক ব্যক্তিরা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তবে সার্বিকভাবে নিউইয়র্কের মাত্র ২৫ ভাগ লোক তা মনে করে। জরিপে দেখা যায়, অপেক্ষাকৃত কম বয়স্করা মনে করে যে বয়স্ক ব্যক্তিরা সহজেই রেগে যান কিংবা নির্দোষ মন্তব্যকেও তাদের প্রতি অপমানজনক হিসেবে বিবেচনা করেন। তবে প্রবীণদের মাত্র ৭ ও ৯ ভাগ লোক যথাক্রমে ওই অভিমতকে সমর্থন করেন। জরিপে আরেকটি তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। তা হলো, অপেক্ষাকৃত কম বয়স্কদের ৩৭ ভাগ সমাজের কঠোর বাস্তবতা থেকে প্রবীণদের রক্ষা করা দরকার বলে মনে করে। তবে প্রবীণদের মাত্র ১৮ ভাগ তা প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন। আবার অপেক্ষাকৃত তরুণ জানিয়েছে, অনেক প্রবীণ কিছু কিছু কাজ করতে পারেন না। কিন্তু যখন তারা ব্যর্থ হন, তখন তারা কষ্ট পান। প্রবীণদের মধ্যে মাত্র ১৪ ভাগ এই অভিমত সমর্থন করেন।
নিউইয়র্ক সিটিতে জুন মাসে সার্বিকভাবে অপরাধ কমেছে বলে পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে। তবে গাড়ি চুরি গেছে বেড়ে। অবশ্য, অস্ত্রবাজি বাড়ায় নিউইয়র্ক নিয়ে চিন্তিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়ে গেছে। এনওয়াইপিডির নতুন অপরাধ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২২ সালের জুন মাসের তুলনায় গত মাসে পাঁচটি বরায় বড় ধরনের অপরাধ ৪ ভাগ কমেছে। তবে গাড়ি চুরি বেড়েছে ২৩ ভাগ। গত বছরের জুনে যেখানে গাড়ি চুরি হয়েছিল ১,১৩৩টি, সেখানে গত মাসে হয়েছে ১,৩৯১টি। তবে ধর্ষণ, খুন, ডাকাতি, বড় ধরনের চুরি ইত্যাদি বেশ কমেছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ধর্ষণ গত বছরের জুনে যেখানে ছিল ১৪১টি, গত মাসে হয়েছে ১০৭টি, অর্থাৎ ২৪ ভাগ কমেছে। চুরি ২০২২ সালের জুনে হয়েছিল ১,৩১১টি, সেখানে গত মাসে হয়েছে ৯৮৬টি। অর্থাৎ প্রায় ২৫ ভাগ কমেছে। এনওয়াইপিডির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার অ্যাডওয়ার্ড ক্যাবান বলেন, সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক পুলিশের লড়াইয়ে কিছুটা অগ্রগতি ইতোমধ্যেই হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী, নগরীর ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে আমরা আমাদের কাজ অব্যাহত রাখব। সকল মানুষের জীবনমান উন্নত করার প্রয়াস চালিয়ে যাব।’
উবার টেকনোলজিস, ডোরড্যাশ এবং অ্যাপভিত্তিক অন্যান্য ফুড ডেলিভারি কোম্পানি ডেলিভারি কর্মীদের জন্য প্রণীত ন্যূনতম বেতনবিধি বাতিল করার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে। কোম্পানিগুলো পৃথক পৃথক মামলায় অভিযোগ করেছে যে খাবার সরবরাহ করা শিল্পটি কিভাবে কাজ করে, সে সম্পর্কে ভুল ধারণা নিয়ে ওই আইনটি প্রণীত হয়েছিল। ১২ জুলাই ওই আইন কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। ওই আইনে ডেলিভারি কর্মীদেরকে ঘণ্টাপিছু ১৭.৯৬ ডলার করে দেওয়ার কথা রয়েছে। আর ২০২৫ সালে তার বেড়ে হবে প্রায় ২০ ডলার। তবে ডেলিভারি কর্মীদের ঘণ্টাপিছু নাকি ডেলিভারিপিছু বেতন দেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করবে কোম্পানি। এদিকে রিলে ডেলিভারিও একই আদালতে দায়ের করা মামলায় জানিয়েছে, রেস্তোরাঁগুলোর ওপর একই বিধি প্রয়োগ করা না হলে নিউইয়র্কভিত্তিক কোম্পানিগুলো ব্যবসায় টিকে থাকতে পারবে না। তবে নগরীর ডিপার্টমেন্ট অব কনজিওমার অ্যান্ড ওয়ার্কার প্রকেটশনের প্রধান ভিল্ডা ভেরা মায়ুগা বলেন, এই আইনটি হাজার হাজার ডেলিভারি কর্মীকে গরিবি থেকে বের করে আনবে। তিনি বলেন, ‘অন্যান্য শ্রমিকের মতো ডেলিভারি কর্মীরাও তাদের শ্রমের যথার্থ প্রাপ্য পাওয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু উবার, ডোরড্যাশ, গ্রাবহাব ও রিলে এই আইনের সাথে ভিন্ন মত প্রকাশ করায় আমরা হতাশ।’ উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের আইন এই প্রথম হয়েছে। আইনটির সমর্থকরা বলছেন, এই আইনের দরকার ছিল। কারণ নগরীর ন্যূনতম মজুরি ঘণ্টাপ্রতি ১৫ ডলার হলেও ডেলিভারি কর্মীরা তারে খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ১১ ডলার আয় করে।
অ্যাপোয়েন্টমেন্ট তারিখের আগে বেশির ভাগ বায়োমেট্রিক্স বা ফিঙ্গারপ্রিন্টের অ্যাপোয়েন্টমেন্টের তারিখ পুনঃনির্ধারণের জন্য বেনিফিট রিকোয়েস্টর এবং তাদের অ্যাটর্নি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিরে সুযোগসমেত ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস নতুন সেলফ-সার্ভিস টুল চালু করেছে। ইউএসসিআইএসের কাস্টমার সার্ভিসের মান বাড়ানোর আরেকটি উদ্যোগ হলো এই টুলের প্রবর্তন। প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং আবেদনকারীদের বোঝা লাঘবের মাধ্যমে ইউএসসিআইএস তাদের এক্সিকিউটিভ অর্ডার অন ট্রান্সফরমিং ফেডারেল কাস্টমার এক্সিপিরিয়েন্স এবং সার্ভিস ডেলিভারি টু রিবিল্ড ট্রাস্ট ইন গভার্নমেন্ট ম্যানডেটস (ইও ১৪০৫৮)-এর লক্ষ্য হাসিলের প্রতি সংস্থার প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করেছে। আগে ইউএসসিআইএস কন্টাক্ট সেন্টারে ফোন করার মাধ্যমেই কেবল বায়োমেট্রিক সার্ভিসের তারিখ পুনঃনির্ধারণের জন্য আবেদন করা যেত। নতুন টুলের ফলে ইউএসসিআইএস অনলাইন অ্যাকাউন্ট করা ব্যক্তিরা কন্টাক্ট সেন্টারে ফোন না করেই বায়োমেট্রিক্স পরিষেবার জন্য বেশির ভাগ রিকোয়েস্ট নতুন করে নির্ধারণ করতে পারবে। অবশ্য, ১২ ঘণ্টার মধ্যে দুই বা এর বেশি সংখ্যায় তারিখ পুনঃনির্ধারণ করা যাবে না। অনলাইন বা মেইল- যেভাবেই আবেদন করা হোক না কেন ইউএসসিআইএস অনলাইন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক সার্ভিস অ্যাপোয়েন্টমেন্ট রিশিডিউলিং করা যাবে। তবে রিশিডিউল করার জন্য আগের মতো ফোন করার ব্যবস্থাও বহাল থাকবে। তবে ইউএসসিআইএস সময় বাঁচানোর জন্য জোরালভাবে নতুন টুল ব্যবহারকেই উৎসাহিত করবে। অবশ্য সময় পুনঃনির্ধারণের আবেদন করার জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই ‘যৌক্তিক কারণ’ দেখাতে হবে। যৌক্তিক কারণের মধ্যে রয়েছে এক. অসুস্থতা, মেডিক্যাল অ্যাপোয়েন্টমেন্ট, বা হাসপাতালে ভর্তি থাকা; দুই. আগে থেকে নির্ধারিত ভ্রমণসূচি; তিন. বিয়ে, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া, গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানের মতো কারো জীবনে ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টিকারী ঘটনা; চার. নির্ধারিত স্থানে যাওয়ার মতো পরিবহন সংগ্রহ করতে না পারা;
দুর্বল তদারকির সুযোগ নিয়ে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদানের নামে একটি কোম্পানি ৩৯০ মিলিয়ন ডলার লোপাট করেছে বলে অভিযোগ করেছে নিউইয়র্ক সিটি স্বাস্থ্য বিভাগ। তদন্তে দেখা গেছে, এক্সিকিউটিভ মেডিক্যাল সার্ভিসেস পিসি- ইএমএস নামের একটি কোম্পানি এই অপকর্মটি করেছে। তারা কোনো কোনো স্থানে টিকাপ্রতি ২৪ শ’ ডলার পর্যন্ত নিয়েছে। দুর্বল তদারকির সুযোগ নিয়ে তারা করোনার পরীক্ষা করা, কর্মী নিয়োগসহ আরো অনেক কিছুতেই অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছে। নিউইয়র্ক স্বাস্থ্য বিভাগ কোভিড মহামারির ভয়াবহ অবস্থার সময় ২০২০ সালের মে মাসে ইএমএসের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত তিন বছরের পরিষেবার জন্য কোম্পানিটিকে প্রদান করা হয়েছে ৩৯০ মিলিয়ন ডলার। তবে কম্পট্রোলার জানিয়েছেন, তাদের মূল্যায়নে কোম্পানিটি ২০০ মিলিয়ন ডলার বিল করতে পারে। তদন্তে দেখা গেছে, কোম্পানিটি তাদের টিকা প্রদানের স্থানগুলোতে নিজস্ব লোকবল নিয়োগ করে বিল করেছে ডিওএইচ-এর হিসাবে। স্বাস্থ্য বিভাগের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি স্থান ছিল অপেক্ষাকৃত গরিব এলাকায়। এসব স্থানে করোনাভাইরাস ভয়াবহভাবে আঘাত হেনেছিল। ফলে সেখানে টিকা প্রদানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু কোম্পানিটি টিকা প্রদানের গতি মন্থর করে বেশি কর্মঘণ্টা দেখিয়ে অতিরিক্ত বিল করেছে।