ফেডারেশন অব বাংলাদেশি এসোসিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকা ফোবানায় এবারও ঐক্য অধরা থেকেই গেলো। নতুন প্রজন্ম এবং প্রবাসী নানা পেশা ও শ্রেণীর বাংলাদেশিরা এবার অন্তত ফোবানা সম্মেলন ঐক্যবদ্ধভাবে হবে এমন প্রত্যাশা করলেও সে আশায় গুড়ে বালি হয়েছে। ফোবানা সৃষ্টির ইতিহাসে এবারেই সবচেয়ে বেশি সম্মেলন হচ্ছে। এর মধ্যে তিনটি সম্মেলন হচ্ছে কানাডায় আর একটি হচ্ছে টেক্সাসের ডালাসে। আজ শুক্রবার সম্মেলনগুলোর পর্দা উঠছে। ফোবানার এমন অনৈক্য এবারও হতাশ করেছে বাংলাদেশিদের। কানাডার টরেন্টো শহরে এগলিন্টন এন্ড ডন ভ্যালি পার্ক হাইওয়ের কর্ণারে ডন ভ্যালি হোটেল কেন্দ্রিক ফোবানা সম্মেলনের আয়োজক সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ সোসাইটি এস সি। রাসেল রহমান হচ্ছেন এই সম্মেলনের আহ্বায়ক। গিয়াস আহমেদ এই সম্মেলনের চেয়ারম্যান এবং কার্যত তার নেতৃত্বেই অনুষ্ঠিত হবে ডন ভ্যালি হোটেলে তিনদিনব্যাপী ফোবানা সম্মেলন। ফোবানার এই সম্মেলনের নির্বাহী সদস্য সচিব হচ্ছেন খোকন রহমান। অপরদিকে টরেন্টো শহরেই কানাডিয়ান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি আরেকটি সম্মেলনের আয়োজক সংগঠন। আবুল আজাদ এই সম্মেলনের আহ্বায়ক। নিউইয়র্কের আলী ইমাম শেরাটন সেন্টার সম্মেলনের চেয়ারম্যান এবং শাহনেওয়াজ মেম্বার সেক্রেটারি। তবে শাহ নেওয়াজেই এই সম্মেলনের মূল ব্যক্তি। এদিকে কানাডায় বাংলাদেশি অধ্যুষিত অন্যতম শহর মন্ট্রিয়লে ৩৭তম ফোবানার অরো একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্থানীয় শেরাটন নাভাল হোটেলে অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলনের স্বাগতিক সংগঠন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব মন্ট্রিয়েল। দেওয়ান মনিরুজ্জামান মন্ট্রিয়েল সম্মেলনের আহ্বায়ক এবং চেয়ারম্যান ফ্লোরিডার আতিকুর রহমান। ফোবানার অপর দুটি ভগ্নাংশ টেক্সাসের ডালাস শহরে আয়োজন করছে পৃথক দু’টি সম্মেলন। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব নর্থ টেক্সাস-বান্ট একটি সম্মেলনের স্বাগতিক সংগঠন। হাসমত মোবিন এই সম্মেলনের আহ্বায়ক। ১৯৮৭ সালে একটি সুনির্দিষ্ট আদর্শ, উদ্দেশ্য ও স্বপ্ন নিয়ে ফোবানার পথ চলা শুরু হয়েছিলো। লক্ষ্য ছিলো উত্তর আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব বোধ সৃষ্টি করা। বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির ধারা উত্তর আমেরিকার বাংলাদেশি কমিউনিটিতে জাগরুক রাখা। দেশ ও প্রবাসের মাঝে সেতু বন্ধন সৃষ্টি। প্রবাসী বাংলাদেশিদের নানাবিধ সমস্যা চিহ্নিত করে সম্মিলিতভাবে তা সমাধানে ব্রতী হওয়া ইত্যাদি কল্যাণকর কর্মকা- চালানো। মোটকথা ফোবানার উদ্যোগ আয়োজনই ছিলো বাংলাদেশিদেরকে ঘিরে। ১৯৮৭ সালে ফোবানা প্রতিষ্ঠা ছিলো সময়োচিত। তৎকালীণ বাংলাদেশি কমিউনিটির চাহিদা ও সময়ের দাবির প্রেক্ষিতেই তখন গোড়াপত্তন ঘটেছিলো ফোবানার। আজকের বাংলাদেশি কমিউনিটির চাহিদা পূরণের ধারে কাছেও নেই ফোবানা। নূতন প্রজন্মের কথা বলে তাদের সাথে করা হচ্ছে বাহাস । ফোবানা সম্মেলনেই একসময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি, ঔপন্যাসিক, নামকরা শিল্পী এবং প্রবাসের মূলধারার রাজনীতিবিদরা অংশ নিতেন। এখন তেমনভাবে তা হয় না। এখনো সময় আছে নেতৃত্ব নিয়ে কোন্দল বন্ধ করে, একই ছাতার নিচে আসার। গিয়াস আহমেদের সংবাদ সম্মেলন ফোবানা সম্মেলনের সর্বশেষ প্রস্তুতি, আলী ইমাম ও শাহ নেওয়াজের নেতৃত্বাধীন ফোবানা নিয়ে গত ২৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানাতে গত ২৮ আগস্ট সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান গিয়াস আহমেদ, ডা. মাসুদুর রহমান, আবু জোবায়ের দারা, আসেফ বারী টুটুল, খন্দকার ফরহাদ, মোহাম্মদ মহসীন, আজাদ হোসেন, কাজী তোফায়েল ইসলাম, মফিজুর রহমান রুমি, রিয়াজ রহমান প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে গিয়াস আহমেদ বলেন, গত ২৩ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে আলী ইমাম, শাহ নেওয়াজ এবং মোহাম্মদ হোসেন খানরা মিথ্যাচার করেছেন। ১৯৮৮ সাল থেকে কমিউনিটি এবং ফোবানার সঙ্গে জড়িত। অনেকে তখন কমিউনিটিতেও ছিলেন না। গত বছরের আগের বছর ওয়াশিংটন ফোবানা সম্মেলন আমরা দিতে না করেছিলাম, কিন্তু তারা দিয়ে সেখান থেকে অপমান হয়ে এসেছেন। সেই সম্মেলনে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার কথা ছিল। মোহাম্মদ হোসেন খানরা পুরো কমিটি না করে ১৩ সদস্যের কমিটি করেছিলেন এবং বলেছিলেন নিউইয়র্কে এসে পরবর্তী নাম সংযোজন করবেন। কিন্তু ওয়াশিংটন থেকে আসার পর তিনি কোনো মিটিংই করেননি। গিয়াস আহমেদ, গত বছরের মন্ট্রিয়েল সম্মেলনে আমাকে চেয়ারম্যান করা হয়। সম্মেলনে আমাদের লোকজনই বেশি ছিলেন। তারপরও সমঝোতার খাতিরে শাহ নেওয়াজকে সদস্য সচিব করা হয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পরবর্তীতে বছর শাহ নেওয়াজকে চেয়ারম্যান করা হবে। আমরা সবাই সেখানে স্বাক্ষর করি। আলী ইমাম সাইন করেছেন, আমি সাইন করেছি, তৌফিক এজাজ সাইন করেন, আবু জোবায়ের দারা সাইন করেন। এখন তারা বলছেন, আমরা কমিটি করতে ব্যর্থ হয়েছি। তিনি একটি পত্রিকার কাটিং দেখিয়ে বলেন, আলী ইমামের নেতৃত্বে সভা হয় এবং ৯ জনকে কো-অপ্ট করা হয়। সেই কমিটির কেউ জানেন না, আমি ইমামকে কীভাবে চেয়ারম্যান করা হলো? চেয়ারম্যান হিসেবে আমিও জানি না। তাছাড়া আমি তাকে ফোন বা মেসেজ করিনি বলে যে তথ্য দিয়েছেন তা-ও সত্য নয়। আমি তাকে বারবার ফোন করেছি এবং মেসেজ করেছি। আমি কাজ করিনি, এটা কীভাবে বলেন? আমরা মিটিং করে কানেকটিকাটে সম্মেলন দিই, গঠনতন্ত্র তৈরি করি, কমিটি করার জন্য একাধিক বৈঠক করেছি। কমিটি করতে গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ নিয়ে আমাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধও শেষ হয় শাহ নেওয়াজের অনুষ্ঠানে আমরা যখন যোগ দিই। তিনি বলেছিলেন আমিই চেয়ারম্যান। পরবর্তীতে আমরা সঙ্গে যোগ না করলে তিনি অবৈধ চেয়ারম্যান নিয়োগ করেন আর স্টিয়ারিং কমিটির অধিকাংশ সদস্য আমাদের সঙ্গে তিনি বা তারা কীভাবে সিদ্ধান্ত নেন? কীভাবে আলী ইমামকে নিয়োগ দেন? এটা আসলে পুকুর চুরি নয়, সাগর চুরি। ডা. মাসুদুর রহমান বলেন, ফোবানা স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান গিয়াস আহমেদ। তারা এখন মিথ্যাচার করছে। কারণ সব সিদ্ধান্তে তাদের স্বাক্ষর রয়েছে। মিথ্যাচার যারা করে তাদের সঙ্গে থাকা যায় না।
বাইডেন প্রশাসন বুধবার নতুন একটি আইনের প্রস্তাব করেছেন। এর ফলে আরো ৩৬ লাখ মার্কিন শ্রমিক ওভারটাইম বিল পাওয়ার উপযুক্ত বিবেচিত হবেন। তিনি কার্যত আদালতের মাধ্যমে অকার্যকর হয়ে পড়া ওবামা-আমালের একটি নীতিই আবার সামনে নিয়ে এসেছেন। নতুন আইনে বলা হয়েছে, বছরে ৫৫ হাজার ডলারের কম আয় করে, এমন তথাকথিত হোয়াইট কালার শ্রমিকদের ওভারটাইম প্রদান করতে হবে। এই আইনে আরেকটি তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। তা হলো প্রতি বছর বেতন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়ানোর কথাও এই আইনে বলা হয়েছে। শ্রম অধিকারকর্মী এবং লিবারেল আইনপ্রণেতারা দীর্ঘ দিন ধরেই ওভারটাইম সুরক্ষার কথা বলে আসছিলেন। অবশ্য নতুন আইনটি কার্যকর হতে আরো কয়েক মাস সময় লাগবে এবং বেশ কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে। নতুন আইনটি খুচরা বিক্রেতা, খাবার, আতিথেয়তা, কারখানা এবং অন্যাণ্য শিল্পে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখানকার শ্রমিকরা ওভারটাইম বিল পাওয়ার অধিকারী হবে। এক বিবৃতিতে লেবারের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জুলি সু বলেন, ‘আমি অনেক দিন ধরে শুনে আসছি যে শ্রমিকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অতিরিক্ত পরিশ্রম করানো হলেও তাদের কোনো বাড়তি পারি¤্রমিক দেওয়া হয় না। একদিকে তাদের বেতন কম। তারপর বাড়তি শ্রমের কোনো মূল্য পান না। অর্থাৎ তাদের আত্মত্যাগের মূল্যায়ন হচ্ছে না।’ তবে নতুন আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে ব্যবসায়ী গ্রুপগুলো। উল্লেখ্য, ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় বাইডেন একই ধরনের আইন জারি করে ওভারটাইম পাওয়ার অধিকারীদের বেতন ৪৭ হাজার ডলারে নির্ধারণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অনেক উদার আইনপ্রণেতা ও ইউনিয়ন তা বাড়িয়ে ৫৫ হাজার ডলার করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ‘ফেয়ার লেবার স্ট্যান্ডার্ড অ্যাক্ট’ অনুযায়ী সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজের পর শ্রমিকরা প্রায় প্রতি ঘণ্টার জন্য ওভারটাইম পাওয়ার উপযুক্ত। তবে নির্দিষ্ট মাত্রার নিচে না থাকলে নির্বাহী, প্রশাসনিক বা পেশাদার ভূমিকায় থাকা বেতনভুক কর্মীরা তা পাবেন না। বামপন্থী ‘ইকোনমিক পলিসি ইনস্টিটিউট’ হিসাব দিয়েছে যে ট্রাম্প আমলের নীতি অনুযায়ী প্রায় ১৫ ভাগ পূর্ণকালীন বেতনভুক কর্মী ওভারটাইম পাওয়ার উপযুক্ত। আর নতুন আইন অনুযায়ী, ২৭ ভাগ পূর্ণকালীন বেতনভুক শ্রমিক ওভারটাইম বিল পাবেন।
‘কে ওই শোনালো মোরে আজানের ধ্বনি/ মর্মে মর্মে সেই সুর, বাজিল কী সুমধুর, আকুল হইলো প্রাণ নাচিলো ধ্বমনী/ কি মধুর আজানের ধ্বনি’। আমেরিকা সৃষ্টির পর থেকেই হয়তো এখানে আযানের সুর
নিউইয়র্ক রাজ্যের সর্বোত্ম হাসপাতালের সর্বশেষ বার্ষিক তালিকায় এনওয়াইসি হেলথ + হসপিটালস/আলমহাস্টকে অন্তর্ভুক্ত করেছে ইউএস নিউজ এবং ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট। তালিকায় নিউইয়র্ক সিটি হেলথ + হাসপাতালের যে ১০টি স্থানের নাম দেওয়া হয়েছে, এটি তার একটি। এই প্রথম এনওয়াইসি হেলথ + হসপিটালস/আলমহার্স্ট এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলো। এটি নিউইয়র্ক মেট্রো এলাকায় ২৬তম এবং নিউইয়র্ক রাজ্যে ২৮তম স্থান অধিকার করেছে। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমুনারি ডিজিজ (সিওপিডি), স্ট্রোক, হিপ ফ্রাকচার ও নিউমোনিয়ার চিকিৎসায় হাসপাতালটির পরিষেবার কারণে তালিকায় এমন সম্মানজনক স্থান অধিকার করেছে।
আমেরিকায় পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ডিপোর্টেশন আতংক বিরাজ করছে। অনেকে দেশে গিয়ে আর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারেন নি। জেএফকে থেকে তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আর ফেরত পাঠানো অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীদের
ফোবানার স্ট্রিয়ারিং কমিটির এক্সিকিউটিভ মেম্বার সেক্রেটারি থেকে শাহ নেওয়াজকে অব্যাহাত দেওয়া হয়েছে। তার স্থানে নতুন করে এক্সিকিউটিভ মেম্বার সেক্রেটারি করা হয়েছে জিআই রাসেলকে। গত ১২ আগস্ট সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন
এনওয়াইপিডির সার্জেন্ট এরশাদুর সিদ্দিকী কমিউনিটি সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন। শনিবার বাংলাদেশ কারেকশন সোসাইটি (বিসিএস) আয়োজিত বার্ষিক সম্মাননা ও নৈশভোজ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি কমিউনিটিকে সেবা প্রদানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য তাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়। বিসিএস এর পক্ষ থেকে তার হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি কাজী হাসান। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইর্য়ক সিটির মেয়র এরিক এডামস এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইর্য়ক কারেকশন বিভাগের কমিশনার লুইস এ মলিনা। বাংলাদেশ আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশন (বাপার) ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এনওয়াইপিডি অবঃ ডিটেক্টটিভ মাসুদ রহমান জানান, সাজের্ন্ট এরশাদ সিদ্দিক চট্টগ্রাম শহরের অদূরে কালুরঘাটের মহরা এলাকার সাইদুর রহমান তালুকদার ও রেহেনা বেগমের পুত্র। চট্টগ্রামের এই কৃতি সন্তান বিগত ২০ বছর ধরে নিউইর্য়ক ফাইনেস্ট হিসেবে বাংলাদেশি কমিউনিটিকে বিভিন্নভাবে সেবা দিয়ে আসছেন। তিনি ২০০৩ সালে এনওয়াইপিডিতে পুলিশ অফিসার হিসেবে যোগদান করেন এবং ম্যানহাটানের ১৯ প্রিসিঙ্কটে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ২০১৬ সালে সার্জেন্ট পদে পদোন্নতি পান এবং ২০১৭ সালে তাকে কমিউনিটি অ্যাফের্য়াস ব্যুরোতে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি বাংলাদেশি কমিউনিটি সেবা প্রদানে বয়স্কদের অপব্যবহার, অপরাধ প্রতিরোধ এবং বাংলাদেশি অভিবাসীদের অধিকার বিষয়ক বিভিন্ন কর্মশালার উপস্থাপনা ও পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে তিনি নিউইর্য়ক সিটি মেয়র এরিক এডামসের নির্বাহী সুরক্ষা ইউনিটে কর্মরত। তিনি বাংলাদেশ আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশনের (বাপা) সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং বাপার বর্তমান এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ।
যুক্তরাষ্ট্রে চলতি সপ্তাহে দীর্ঘমেয়াদি মর্টগেজ রেট ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। এর ফলে ইতোমধ্যেই বাড়ি কেনায় সমস্যায় থাকা লোকজন আরো কঠিন অবস্থায় পড়ে গেছে। মর্টগেজ বায়ার প্রতিষ্ঠান ফ্রেডি ম্যাক বলেছে, ৩০ বছর মেয়াদি গড় হার গত সপ্তাহের ৬.৯৬ ভাগ থেকে বেড়ে ৭.০৯ ভাগ হয়েছে। এক বছর আগে তা ছিল ৫.১৩ ভাগ। এ নিয়ে টানা চার সপ্তাহ ধরে গড় হার বাড়ল। আর তা ২০০২ সালের এপ্রিলের পর থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। ওই সময় গড় হার ছিল ৭.১৩ ভাগ। সর্বশেষ গত নভেম্বরে গড় হার ৭ ভাগের বেশি ছিল। ওই সময় তা হয়েছিল ৭.০৮ শতাংশ। উচ্চ হারের জন্য ঋণ গ্রহণকারীকে প্রতি মাসে অতিরিক্ত কয়েক শ’ ডলার দিতে হবে। ফলে অনেক আমেরিকানের জন্যই বাড়ি কেনা কঠিন হয়ে পড়েছে। আর তা কেবল ৩০ বছর মেয়াদির জন্যই হয়নি, ১৫ বছর মেয়াদি মর্টগেজের ক্ষেত্রে গড় হার বেড়েছে। উল্লেখ্য, ১৫ বছরের ফিক্সড-রেট মর্টগেজের ক্ষেত্রে গত সপ্তাহের ৬.৩৪ ভাগ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬.৪৬ ভাগ। এই হার বাড়ার কারণ সম্পর্কে ফ্রেডি ম্যাকের প্রধান অর্থনীতিবিদ স্যাম খাতার বলেছেন, ‘অর্থনীতি গত ১০ মধ্যে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো করেছে। এর ফলে মর্টগেজ রেট বাড়ছে।’ তিনি বলেন, ‘স্বচ্ছলতার কারণে চাহিদা বাড়ছে।’
গ্লোবাল পিস অ্যামব্যাসেডর স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদকে সংবর্ধনা দিয়েছে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলাবাসী। সম্প্রতি উপজেলার আলীগঞ্জ বাজারে অন্ুিষ্ঠত ওই সংবর্ধনায় স্থানীয় বিপুল সংখ্যক মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। প্রসংঙ্গত, ভিয়েতনাম থেকে নাইট অফ সেন্ট জন অফ জেরুজালেম উপাধিতে ভূষিত হওয়ার পর সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশে যান। সংবধনা সভায় উপস্থিত সিলেট বিভাগের তৃণমূল মানুষের উদ্দেশ্যে স্যার ড. আবু জাফর মাহমুদ বলেন, আমরা সবাই এক দেশের এক পরিবারের মানুষ। আমাদের এখানে শুয়ে আছেন, হযরত শাহজালাল (র.) সহ তার সঙ্গীয় ৩৬০জন ধর্ম প্রচারক। তারা আমাদেরকে যে নৈতিকতা শিখিয়েছেন, তার প্রথমটাই হচ্ছে ভালোবাসা। তাদের সেই শিক্ষাই আজ এই ভূমির সাধারণ মানুষ অনুসরণ করেছে। এই জন্য আপনারা সেরা মানুষ। কেবল ডিগ্রি থাকলেই শ্রেষ্ঠ মানুষ হয়ে যায় না। অনেক বড় বড় ডিগ্রি অর্জন ও অনেক ক্ষমতা পাবার পরও গ্রামের মানুষের মতো এই চেতনা অর্জন করতে পারে না। আপনাদেরকে ভালোবাসা ও আত্ম মর্যাদাবোধে কেউ উদ্বুদ্ধ করেনি, আপনারা জন্ম থেকেই এই শক্তি লাভ করেছেন, সেটিই অনুশীলন করে চলেছেন। কবীর মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আবু বকর, রফিক মিয়া ও হাজী মোখলেসুর রহমান প্রমূখ। আবু জাফর মাহমুদ সিলেটের দক্ষিণ ছাতকের সমাবেশ স্থলকে প্রানপ্রিয় বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য একটি জনপদ উল্লেখ করে বলেন, আল্লাহ এখানে আমাকে আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছেন, এটা আমার কোনো পরিকল্পনার অংশ নয়। গত বন্যায় আপনাদের সাথে মহান আল্লাহ তায়ালা যে আত্মীয়তা গড়ে দিয়েছেন, আমি খুব চেয়েছি আমার এই আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে। আমি বরাবরই বিশ্বাস করি, ভালোবাসার দায়িত্বের ওপরে কোনো দায়িত্ব নেই। আপনাদের সঙ্গে যে সম্পর্কটা গড়ে উঠেছে এই সম্পর্কটা হচ্ছে ভালোবাসার। মুুক্তিযুদ্ধের ১ নং সেক্টরের মাউন্টেন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার আবু জাফর মাহমুদ বলেন, বঙ্গবীর জেনারেল ওসমানী সাহেবের কমান্ডে, পরিকল্পনায় ও নির্দেশে মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। এই যুদ্ধের আমি একজন সৈনিক। আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধ যেমন কোনোদিন শেষ হয় না, একজন মুক্তিযোদ্ধারও কোনো অবসর নেই। যতক্ষণ জীবিত ততক্ষণই যুদ্ধ চলবে। এই যুদ্ধ হচ্ছে প্রেমের যুদ্ধ, সম্পর্কের যুদ্ধ। যদি আমার মধ্যে ভালোবাসা থাকে আপনাদের সঙ্গে, আমার প্রিয় মানুষের সঙ্গে দেখা হবেই। ড. মাহমুদ ২০২২ সালের বন্যায় ছাতকের জনগোষ্ঠির দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, বন্যা শুরু হওয়ার দু’দিন আগে আমি কবীর ভাইয়ের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক যা কিছু সম্বল ছিল পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। বন্যা শুরুর অনেক আগেই বুঝেছিলাম, হাওরের মানুষের অনেক কষ্ট হবে। আমার কাছে সংবাদ ছিল, এই সিলেটে উপরের অঞ্চল থেকে পানি পাঠানো হবে, দরজাটা খুলে দেয়া হবে। যারা জেনেছিলেন তাদের অনেকেই হয়তো জেনেও চুপ করে ছিলেন। আমি জেনেই আমার সাধ্যমত ব্যবস্থা নিয়েছি, এখানেই পার্থক্য। স্যার আবু জাফর মাহমুদ ছাতকের প্রিয়মুখ কবীর মিয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, একজন সৎ মানুষ পেয়েছি। যোগ্য মানুষ। উপযুক্ত নেতা। কর্মঠ মানুষ। আমি তার মাধ্যমেই শীতের সময় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছি। আমি একা ছিলাম কিন্তু পরে তা হয়ে উঠলো একটি পরিবার। আস্তে আস্তে যুক্ত হয়ে গেল কবীর ভাইয়ের আরেক ভাই লিলু মিয়া, জিতু মিয়া, বোন শিউলী বেগমসহ সবাই। ড. মাহমুদ ছাতক বাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক দলের নই। আপনাদের কারো সঙ্গে আমার কোনো পারিবারিক সম্পর্ক নেই। পরিবেশ ও প্রকৃতি যারা ধংস করছে, তারা আমাদের নিঃশ্বাস নেবার শক্তিকে কেড়ে নিচ্ছে। অক্সিজেন পাওয়ার উৎস্যগুলো ধংস করে দিচ্ছে। একজন মানুষকে গুলি করে হত্যা করলে সে ঘাতক হয়, তাহলে যারা শত শত মানুষকে হত্যা করে পরিবেশ ধংস করে তারা কী? তার এই প্রশ্নের জবাবে উপস্থিত দর্শকরাই সমস্বরে বলেন ‘গণ হত্যাকারী’। ‘তারা গণহত্যাকারী’।
নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ট্রাফিক ইনফোর্সমেন্ট এজেন্ট পদে কর্মরত প্রায় ২৬০০ সদস্যের ইউনিয়ন সিডব্লিউএ লোকাল-১১৮২-র সভাপতি সাইদ রহিম দুদুর বিরুদ্ধে চলমান যৌন হয়রানির মামলাটি অবশেষে সেটেল্ড হলো। মামলায় তিনি হেরে গেছেন। গত ৮/০৮/২০২৩ তারিখে হওয়া সেটেলমেন্টে মামলার বাদী মিস গেইল রামরুপকে ৩১৫,০০০ ডলার দেবার সিদ্ধান্ত হয়। ২০১৯ সালে ৬৭ বছর বয়সী দুদুর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে ৬ লাখ ডলার ক্ষতিপুরণ দাবী করে ম্যানহাটান সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি দায়ে করেন তারই অফিস সেক্রেটারি গেইল রামরুপ। মামলার রায়ের ফলে তার চাকুরী চলে যাবে, অবসর ভাতা পাবেন না, ডিপার্টমেন্টের সুনাম ক্ষুন্ন হবে, তার সংসার ও সামাজিক সম্মান ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এসব মানবিক কারণে আদালতের বাইরে ক্ষতিপূরণ দিয়ে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে আদালতের আদেশ পাওয়ার জন্য ২০১৯ সাল থেকে সাঈদ রহিমের এটর্নী বারবার আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের কাছে। দীর্ঘ ৩ বছর পর গত ১২/৯/২০২২ তারিখে বিচারক ডেভিড কোহেন এক আদেশে সেটেল্ড করার অনুমতি দেন। ২০১৯ সালে এ মামলাটি হবার পর সভাপতি রহিমকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে নতুন দায়িত্ব গ্রহন করেন স্টাফ রিপ্রেজেনটেটিভ রিকি মরিসন। এই ইউনিয়নে চলমান অর্থনৈতিক অনিয়ম বিষয়ে ফরেনসিক অডিট করান রিকি মরিসন। সেখানে তারা ৩৭টি অনিয়ম পায়। সিডব্লিউএ-র অডিট এবং তদন্তে রহিমের বিরুদ্ধে ৩৭টি সুনির্দিষ্ট অপরাধ পাওয়া যায়। এরপর গত ৬/০৫/২০২০ তারিখে সিডব্লিউএ- প্রেসিডেন্সিয়াল মিটিংয়ে এই অভিযোগ গুলো আলোচনা করে রহিমকে দোষী প্রমাণিত করে।