সিলেটের সীমান্তবর্তী কয়েকটি উপজেলায় পানি কমলেও শুক্রবার নগরীতে প্রবেশ করেছে সুরমার পানি। ইতোমধ্যে নগরীর চার হাজার পরিবার বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। নগরীর বন্যা কবলিতদের জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র।
শুক্রবার (৩১ মে) দুপুর থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা। নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কিশোরী মোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও পার্শ্ববর্তী একটি পাঁচতলা খালি বিল্ডিংয়ে একই ওয়ার্ডের মতিন মিয়ার কলোনির ৪০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, বিভিন্ন কাউন্সিলরদের দেয়া তথ্যমতে- নগরীতে বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে ইতোমধ্যে চার হাজার পরিবার। তাদের পর্যাপ্ত শুকনো খাবার পাঠানোর ব্যবস্থা নিচ্ছে সিসিক।
শুক্রবার রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার বন্যা কবলিত এলাকার কাউন্সিলরদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয় বলে জানান তিনি।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় নগরীর ১৫, ২২ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের, সুবহানীঘাট, তালতলা, উপশহর, তেররতন এলাকা পরিদর্শন করেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো: মখলিছুর রহমান কামরান, প্রধান নির্বিহী কর্মকর্তা মো: ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, স্থানীয় কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানু, ২২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলে রাব্বি চৌধুরী মাসুম, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির সুহিন, জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর।
এ সময় ভারপ্রাপ্ত মেয়র মখলিছুর রহমান কামরান বলেন, উজান থেকে নেমে আসা ঢল আর টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের নদ-নদীর পানির বেড়ে ইতোমধ্যে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি শহরের দিকে ধেয়ে আসছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো: আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তত্ত্বাবধানে সঙ্কট মোকাবিলায় পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের বিভিন্ন শাখা ছুটি বাতিল করে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। সকাল থেকে আমাদের কার্যক্রম চলছে।’
সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জান চৌধুরীর নির্দেশে বৃহস্পতিবার জরুরি সভা করে সিসিক কতৃপক্ষ। সভায় কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তারই অংশ হিসেবে শুক্রবার দিনভর কর্মতৎপরতা চালায় সিসিক কর্তৃপক্ষ।
সূত্র : ইউএনবি
Leave a Reply