শুষ্ক ত্বকে সাবান ব্যবহার করলে ত্বকের ময়েশ্চার সাবানের ক্ষারে ধুয়ে যায়। ফলে ত্বক আরও বেশি রুক্ষ হয়ে পড়ে এবং চুলকানির ভাব সৃষ্টি হয়। আমাদের দেশের গৃহবধূদের রান্না থেকে কাপড় ধোয়া পর্যন্ত ঘরের যাবতীয় কাজকর্ম করতে হয়। নানাবিধ কাজকর্মে সাবানের ব্যবহার হয়ে পড়ে বেশি। অতিমাত্রায় সাবান ব্যবহারের ফলে গৃহবধূদের হাতে এক ধরনের অ্যাকজিমা দেখা দেয়, যাকে বলে ‘হাউস ওয়াইফস অ্যাকজিমা’।
সাবান থেকে আরও হতে পারে ‘সোপ ডার্মাটাইটিস’। অ্যাটোপিক অ্যাকজিমা দেখা যায় শিশুদের মধ্যে। সাবানের ব্যবহার কমালে অনেক সময় এ ধরনের অ্যাকজিমা অনেকাংশে কমে যায়। তবে সাবানের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করা মোটেও উচিত নয়। কেননা সাবান মাখা বন্ধ করলে ত্বকের জায়গায় পুরু খোসার স্তর জমে যায়। ফলে কোনো ওষুধ বা মলম মাখলে তা ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না।
এ ছাড়া ত্বকে জীবাণু অনেক বৃদ্ধি পায়। তাই গোসলের সময় অল্পক্ষণ সাবান মাখা উচিত এবং গোসলের পর কোনো ময়েশ্চারাইজার গায়ে লাগালে ভালো হয়। ফলে সাবান মাখার উপকারটুকুও পাওয়া যায়, আবার ত্বকও শুষ্ক হয় না।
Leave a Reply