বিনোদন জগতে একের পর এক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও সুরকার বাপ্পি লাহিড়ী। মূলত ডিস্কো ঘরানার গানের জন্য জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। তবে শুধু গানই নয়, কিছুটা ভিন্ন ‘লুকের’ জন্যও জনপ্রিয় ছিলেন এই সংগীতশিল্পী। চোখে সানগ্লাস। পরনে ঝলমলে পোশাক। গা ভরতি সোনা। গলায় ঝুলন্ত পান্নাখচিত সোনার গণেশ লকেট। এককথায়, তার স্টাইল স্টেটমেন্ট ছিল নজরকাড়া।
যেহেতু বরাবরই পপ, হিপহপ গানের ভক্ত ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী, তাই পাশ্চাত্যের হিপহপ গায়কদেরই অনুসরণ করতেন তিনি। শুধু তাই নয়, কনসার্টের সময় সোনার চেন পরতেন এলভিস। তাকে দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন ভারতের ডিস্কো কিং। এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই সেকথা জানিয়েছেন।
ভারতের সংবাদমাধ্যম সংবাদপ্রতিদিনের খবরে বলা হয়েছে, শুধু ফ্যাশনের জন্য নয়, বাপ্পি লাহিড়ীর কাছে সোনা ছিল লাকি। যখনই কোন গান বা অ্যালবাম হিট করতো, তখনই সোনা কিনতেন বাপি লাহিড়ী। আর এভাবেই তার সংগ্রহে একে একে জমা হয় নতুন নতুন সোনার গয়না। রোজই নিয়ম করে সোনার গয়না বদল করে পরতেন তিনি। গলায় ঝুলতো আটটি সোনার চেন।
ঘনিষ্ঠ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাপ্পি লাহিড়ী নিজেই যত্ন করতেন তার সোনার। কেউ তার সোনার কালেকশন ছুঁয়ে দেখুক, একেবারেই পছন্দ ছিল না এই সংগীতশিল্পীর। সোনার প্রতি এতটাই ভালোবাসা ছিল তার।
২০১৪ সালে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন বাপ্পি লাহিড়ী। শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। সেসময় যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন সেই অনুযায়ী, মোট ৭৫৪ গ্রাম সোনার মালিক ছিলেন তিনি।
গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ৬৯ বছর বয়সে মারা গেছেন কিংবদন্তি এই সংগীত পরিচালক। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, বাপ্পি লাহিড়ীর এত সোনার এবার কী হবে, কারা পাবেন?
সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাপ্পী লাহিড়ীর মেয়ে রিমা ও ছেলে বাপ্পা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাবার সমস্ত সোনা সংরক্ষণ করবেন। বাপ্পি লাহিড়ী ঠিক যেভাবে তার সোনার কালেকশন সুন্দর বাক্সের মধ্যে সাজিয়ে রাখতেন, সেভাবেই রাখতে চাইছে তার পরিবার। ভবিষ্যতে সংগ্রহশালা তৈরির প্ল্যানও রয়েছে বলে জানা গেছে।
Leave a Reply