খাওয়া-দাওয়া, তেজস্ক্রিয়তা, পুরোনো ক্ষতসহ নানা কারণেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে মরণব্যাধি ক্যানসার। রোগটি হওয়ার নানাবিধ কারণের মধ্যে কিছু পেশাও আছে, যেগুলোতে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।শুনতে অবাক লাগলেও এমনটিই জানিয়েছে ভারতীয় লাইফস্টাইল বিষয়ক সংবাদমাধ্যম বোল্ড স্কাই।
চলুন দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন পেশায় ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে-
নির্মাণ শ্রমিক
নির্মাণ শ্রমিকদের ত্বক ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে সূর্যের ক্ষতিকর আলোয় থাকার কারণে তাদের ত্বকের ক্ষতি হয় এবং এর ফলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এ ছাড়া নির্মাণ শ্রমিকদের মেসোথেলিয়োমা নামক এক ধরনের ফুসফুসের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকে।
রাবার শ্রমিক
রাসায়নিক, রাসায়নিক বাষ্প, ধুলাবালি এবং রাবারের নানা উপজাত পণ্যগুলোরর সংস্পর্শে আসার কারণে রাবার শ্রমিকদের পাকস্থলী, ফুসফুস এবং মূত্রাশয়ের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের এক প্রতিবেদন অনুসারে, এই শিল্পে কাজ করা ব্যক্তিদের লিউকেমিয়াস এবং লিম্ফোমাস হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
কৃষক
একটি সমীক্ষা অনুসারে দেখা গেছে,কৃষিকাজে জড়িত নারী-পুরুষ উভয়েরই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। কারণ কীটনাশক, সার এবং অন্যান্য রাসায়নিক উপাদানগুলো কৃষিকাজে ব্যবহারের সময় তা শরীরে প্রবেশ করে। এসব রাসায়নিকের অত্যধিক ব্যবহারের কারণে ফুসফুসের ক্যানসারের প্রকোপ যেমন-লিম্ফোমাস, লিউকেইমিয়াস এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
হেয়ার স্টাইলিস্ট
ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদন অনুসারে, হেয়ার স্টাইলিস্টরাও ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। তারা চুলে ব্যবহৃত রঙ এবং রঙে থাকা রাসায়নিকগুলোর সংস্পর্শে আসেন। এই রাসায়নিকগুলো অনায়াসেই শরীরে প্রবেশ করে। দীর্ঘদিন কাজ করার ফলে এটি মূত্রাশয় এবং ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
খনির শ্রমিক
বিভিন্ন খনিতে কর্মরত মানুষেরও ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। যেমন ডিজেল নিষ্কাশন ক্যানসারের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এ ছাড়া কয়লা খনি, ইটের খনি ইত্যাদি কাজের প্রক্রিয়া চলাকালীন ফুসফুসে জমা হওয়া ধুলিকণা ফুসফুসের টিস্যুগুলোকে কালো করে দেয় এবং ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির মতে, কর্মক্ষেত্র-সম্পর্কিত ক্যানসারের হার গত কয়েক দশকে অনেকটাই কমেছে। সুরক্ষা বিধি বৃদ্ধি ও প্রচারের কারণে এ হার কমেছে। তবে যদি আপনি কখনো ভাবেন যে আপনার কাজটি কোনো স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করছে, তাহলে অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের কাছে চলে যান।
Leave a Reply