আমরা যুদ্ধে বিজয় অর্জনকারী একটি দেশ, একটি জাতি। সবসময় সে কথা মাথায় রেখে, মনে সাহস রেখে মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে চলতে হবে এবং নিজেদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নবীন ক্যাডেটদের উদ্দেশে আজ রোববার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের কুচকাওয়াজ (শীতকালীন) অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। ভিডিও’র অপরপ্রান্তে বিমান বাহিনী একাডেমি যশোর যুক্ত ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনোকিছুতেই যেন বাংলাদেশ পিছিয়ে না থাকে, তার জন্য যা যা দরকার সেটা করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, ‘খুব দুঃখিত করোনা মহামারির কারণে আমার যাতায়াত খুব সীমিত। যে কারণে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারলাম না। এটা আমার জন্য খুব দুঃখের, কষ্টের। আশা করি এই ধরনের করোনা দুর্ভোগ থেকে বাংলাদেশ অচিরেই মুক্তি পাবে।
ভবিষ্যতে আবার সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর পর সরকার গঠন করি। জাতির পিতার হাতে গড়া সশস্ত্র বাহিনীর কল্যাণে কাজ করি। কারণ তার পদাঙ্ক অনুসরণ করি। যুদ্ধবিধস্ত দেশ তিনি গড়ে তোলেন। তখনই এই বিমান বাহিনীর জন্য সেই সময়কার সবচেয়ে আধুনিক বিমান, যেটা ওই যুগের জন্য সবচেয়ে আধুনিক ছিল সুপারসনিক মিগ-২১ যুদ্ধ বিমান ক্রয় করেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিমান বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আধুনিক পাঁচটি সি-১৩০জে বিমানের জন্য চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে। তিনটি বিমান ইতিমধ্যে এসে গেছে। বৈমানিকদের প্রশিক্ষণ আরও উন্নত করার লক্ষ্যে আরও সাতটি অত্যাধুনিক ট্রেইনার বিমান যুক্ত করা হয়েছে। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইন্ট্রোরেগেশন, সর্বাধুনিক এয়ার ডিফেন্স রাডার।
লালমনিরহাটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন এন্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমআরএএইউ)’র প্রসঙ্গ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বিমানবন্দরে বিমান চলাচল, বিমান নির্মাণ, গবেষণা, মহাকাশ, বিজ্ঞান চর্চা হবে যার মাধ্যমে আশা করি হয়তো একদিন আমরা এই বাংলাদেশে যুদ্ধ বিমান, পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার তৈরিও করতে পারবো। আর মহাকাশে বিজ্ঞান চর্চা করা, হয়তো একদিন আমরা মহাকাশে পৌঁছেও যেতে পারি, সেই প্রচেষ্টা আমাদের থাকবে।’
Leave a Reply