নিউজিল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এর ফলে দেশটিতে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১৭ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নিউজিল্যান্ডে টানা ১০২ দিন স্থানীয়ভাবে কোনো করোনা সংক্রমণ ছিল না। তবে দুদিন আগে দেশটির সবচেয়ে বড় শহর অকল্যান্ডে করোনার নতুন একটি করোনা ক্লাস্টার পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
গতকাল রোববার পর্যন্ত অকল্যান্ডে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ জন। আর পুরো দেশে বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৯ জন।
আজ সোমবার নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন নির্বাচন পিছিয়ে ১৭ অক্টোবর করার ঘোষণা দেন। জাসিন্ডা বলেন, ‘নির্বাচন পেছানোর কোনো ইচ্ছাই আমার ছিল না। তবে করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে পেছানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন যে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে এরপর আমাদের আর নির্বাচন পেছানোর ইচ্ছা নেই।’
নিউজিল্যান্ডের আইন অনুযায়ী, সে দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনে দুই মাসের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারেন। তবে এ নির্বাচন পিছিয়ে দিতে দেশটির বিরোধী দলও সরকারকে অনুরোধ করেছিল।
নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মনে করছে, বিদেশ থেকে যারা দেশে ফিরেছেন তাদের মাধ্যমেই নতুন করে করোনা ছড়াতে শুরু করেছে।
Leave a Reply