ঢাকার দোহার উপজেলায় হারুন-অর-রশীদ মাস্টার (৬৫) নামে এক বিএনপি নেতাকে ৬ রাউন্ড গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
আজ বুধবার সকাল ৬টার দিকে বাহ্রা হাবিল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে হাঁটতে গেলে গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়। নিহত হারুন-অর-রশীদ মাস্টার বাহ্রা গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি দোহারের নয়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন বিএনপির উপদেষ্টা ছিলেন।
দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে সকাল সোয়া ৭টার দিকে হারুন মাস্টারকে নিয়ে আসা হয়। এ সময় আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পাই। তবে তার ঘাড়, বুকে, পিঠে, পায়ে সব মিলিয়ে প্রায় ৬-৭ রাউন্ড গুলির দাগ রয়েছে।’
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে নামাজ পড়ে বাড়ির পাশে নদীর ধারে হাঁটতে গেলে ৩ যুবক এসে হঠাৎ গুলি করে চলে যান। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুলির শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে হারুন-অর-রশীদকে দোহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
হারুন মাস্টারের ভাতিজা মো. শাহিন বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো ভোরে নামাজ শেষে চাচা হাটঁতে বের হন। এ সময় ৩ যুবক তাকে গুলি করে ফেলে রেখে যান। তবে এখনো এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।’
এ ঘটনার পরপরই উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির পক্ষে থেকে এই নৃশংসতা হত্যার প্রতিবাদে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে থানার সামনে পথ সভা করে। সভায় উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
তারা বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনসহ হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে বিএনপির পক্ষ হতে কঠিন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে।’
এদিকে খবর পেয়ে দোহার থানার ওসি মো. হাসান আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ‘স্থানীয় কারো সঙ্গে পূর্ব শত্রুতা আছে কি না এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
Leave a Reply