ব্রিটিশ-ভারতীয় সাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক সালমান রুশদিকে লক্ষ্য করে ছুরি হামলা চালানো তরুণ হাদি মাতারকে (২৭) ২৫ বছর কারাবাসের সাজা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি আদালত। মার্কিন আইন অনুযায়ী তাকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে।
রয়টার্স ও আলজাজিরার প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার এই রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। এ সময় আদালতের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন মাতার।
২০২২ সালের আগস্টে নিউইয়র্কের চাওতাউকুয়া জেলায় একটি অনুষ্ঠানে মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার সময় ছুরি হাতে সালমান রুশদির দিকে ছুটে যান হাদি মাতার। সে সময় তার বয়স ছিল ২৪ বছর। মঞ্চে উঠে রুশদির ঘাড়, মাথা ও দেহকে লক্ষ্য করে ১৫ বার ছুরিকাঘাত করে মাতার।
হামলায় গুরুতর আহত সালমান রুশদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ হামলায় নিজের একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন তিনি।
এই মামলার বাদিপক্ষ হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন রুশদি। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘সে প্রথমে আমাকে ঘুষি মেরেছিল, তারপর ছুরি বের করে একের পর এক আঘাত করে।’
অন্যদিকে হাদি মাতার আদালতকে বলেছেন, ‘সালমান রুশদি অন্যান্য অনেককে অশ্রদ্ধা করেন এবং তিনি চান, সবাই তার মতো হোক। আমি তার এই ধারণার সঙ্গে একমত নই।’
রায় ঘোষণার পর মাতারের আইনজীবী নাথানিয়েল ব্যারনকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন যে মাতার তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত কি না।
জবাবে ব্যারন বলেছিলেন, ‘এটি একটি ন্যায্য প্রশ্ন এবং আমার মনে হয় এর উত্তর আমি দিতে পারব না। আমি শুধু এটুকু বলতে পারি যে আমি মনে করি মানুষ মাঝে মাঝে দুর্ভাগ্যবশত অনেক খারাপ সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেটার পরিণতি এত বাজে হয় যে সে অনুতপ্ত কি না- তা ও প্রকাশ করতে অসুবিধা বোধ করে।’
Leave a Reply