১৩ বিঘা পুকুর খনন করছে এক কৃষক। পুকুর খনন করা অবৈধ বলে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে বিএনপির নেতাকর্মীদের। চাঁদা না দেওয়ায় গত এক মাস যাবত পুকুর খনন বন্ধ করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। পুকুর খননের বেকু মেশুন দিয়ে বাড়ির মাটি ভরাট কাজ করছে জেনেই বিএনপির ৮ থেকে ১০ জন নেতাকর্মীরা হাজির হয় কৃষকের বাড়িতে। বাড়ির মাটি ভরাট কাজ বন্ধ করে দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এক কথা, দুই কথা বলতে বলতে কৃষকের ভাইয়ের সাথে কথাকাটি শুরু হয়। চাঁদাবাজরা কৃষকের ভাইকেও মারপিট করে।
চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আবু সাইয়াদের বড় ভাই মোন্নাফকে বেধড়ক মারপিট করে এবং বেকু মেশিনে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। মোন্নাফ এর আত্মচিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে চাঁদাবাজদের গণধোলাই শুরু করে। এসময় ৪টি মোটর সাইকেল রেখে অন্যান্য বিএনপির নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলে সলঙ্গা থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোমিনুল ইসলাম মোমিন, সদস্য রোকনুজ্জানান রোকন ও সলঙ্গা থানা কৃষক দলের সদস্য সচিব সোবাহান আলী সহ ৫ জন আটক করে গণধোলাই দেয় এবং মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে। আটককৃত ৫ জন সলঙ্গা থানার পুলিশের নিকট তুলে দেন এলাকাবাসী।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, পুকুর তৈরির বিষয়কে কেন্দ্র করে গণধোলাই দিলে ৫ জনকে পুলিশের হাতে সোর্পদ করেছে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে এখনো কোনো মামলা হয়নি। মামলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Leave a Reply