জুলাই আন্দোলনের পৃথক মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও পুলিশের সাবেক আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম শুনানি শেষে রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
রিমান্ডকৃতদের মধ্যে যাত্রাবাড়ি থানার মো. রাসেল হত্যা মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়।
আসামিপক্ষে আইনজীবী আব্বাস উদ্দিন রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
আর ভাটারা থানার মনির হোসেন হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমানের পাঁচ দিনের রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়। আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
শেষে বাড্ডা থানার আব্দুল জব্বার হত্যা মামলায় আনিসুল হকের তিন দিনের রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানি শেষেআদালত দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
সালমান এফ রহমানের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই ভাটারা থানাধীন বাঁশতলা এলাকায় আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিতে আহত হন মনির হোসাইন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ২০ জুলাই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের ভাই পারভেজ ফরাজী গত ২ অক্টোবর ভাটারা থানায় মামলা করেন।
আনিসুল হকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট বাড্ডা থানাধীন ডিআইজি প্রজেক্ট এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন আব্দুল জব্বার সুমন। সন্ধ্যায় আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হন তিনি। পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ১৯ আগস্ট বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের মা।
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনের মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা ফুটওভার ব্রিজ এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন মো. রাসেল। পরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
উল্লেখ্য, তিন আসামিকেই বিভিন্ন মামলায় আরও কয়েকবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।
Leave a Reply