বিভিন্ন দাবি নিয়ে রাজধানীর মিরপুর- ১৩ নম্বর বিআরটিএ’র সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন সিএনজি চালকরা। এর ফলে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন শত শত মানুষ।
জানা গেছে, গ্যাস বা পেট্রোলচালিত অটোরিকশা চালকরা মিটারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। এই নির্দেশনার আওতায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রমাণ মিললে চালককে অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা ৬ মাসের কারাদণ্ড, কিংবা উভয় দণ্ড দেওয়া হতে পারে।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিআরটিএর পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) শীতাংশু শেখর বিশ্বাসের সই করা এক নির্দেশনায় বিষয়টি জানানো হয়। এ সংক্রান্ত চিঠি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারকেও পাঠানো হয়েছে।
এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং বিআরটিএ’র নির্ধারিত ঢাকা মেট্রোর সিএনজি অটোরিকশার দৈনিক জমা ৯০০ টাকা অবিলম্বে কার্যকর করাসহ ৯ দফা দাবি জানিয়ে আসছেন সিএনজি অটোরিকশা চালক ঐক্য পরিষদের চালকরা।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- ২০০৭ সালে ঢাকা মেট্রোর জন্য সরকার অনুমোদিত ৫ হাজার সিএনজি অটোরিকশা অবিলম্বে চালকদের নামে রেজিস্ট্রেশন (ব্লু-বুক) প্রদান করতে হবে, ঢাকা শহরের আয়তনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আরও ১৫ হাজার সিএনজি অটোরিকশা চালকদের নামে অনুমোদন দিতে হবে, সিএনজি অটোরিকশা চালক কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।
এছাড়া, আইএলও কনভেনশন ৮৭ অনুযায়ী অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দিতে হবে, প্রশাসনের সব ধরনের চালক হয়রানি বন্ধ করতে হবে, পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত স্থান নির্ধারণ না করে নো পার্কিং মামলা বন্ধ করতে হবে, লেন/বাইলেন করে মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল করতে দিতে হবে এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এবং বিধিমালা ২০২৩ এর শ্রমিকস্বার্থ বিরোধী ধারা ও বিধি বাতিল করতে হবে।
এর আগে এসব দাবিতে গত ২০ জানুয়ারি দুপুরে বনানীতে বিআরটিএ সদর দপ্তরের সামনের রাস্তায় শুয়ে অবরোধ করেন সিএনজি অটোরিকশা চালকরা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সরকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন (প্রথম দুই কিলোমিটার) ভাড়া ৪০ টাকা। এরপর প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১২ টাকা এবং ওয়েটিং বিল প্রতি মিনিটে দুই টাকা নির্ধারিত রয়েছে।
তবে যাত্রীদের অভিযোগ, ঢাকায় ১৫০ টাকার নিচে স্বল্প দূরত্বে যাতায়াত করা সম্ভব নয়।
Leave a Reply