বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষিত সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের সব লকার ফ্রিজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সন্দেহ করছে, এসব লকারে গোপনে বিপুল পরিমাণ অপ্রদর্শিত অর্থসম্পদ মজুত রয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকে সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বর্তমানে লকারে কোনো সম্পদ রাখতে দেওয়া হচ্ছে না। একইসঙ্গে কোনো সম্পদ বের করতে দেওয়া হচ্ছে না। ওই সব বিশেষ লকারে গোপনে অপ্রদর্শিত বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ জমা রয়েছে বলে মনে করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এর আগে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনোভাবেই যাতে লকার থেকে অর্থ-সম্পদ সরিয়ে নিতে না পারেন সে জন্য সব লকার ফ্রিজ করার অনুরোধ জানিয়ে গত রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চিঠি পাঠান দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান।
এতে বলা হয়, ৩০ জানুয়ারি দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারগুলোর বিষয়ে আলোচনা হয়। অর্থ উপদেষ্টা এসব লকারের সম্পদ ফ্রিজের সম্মতি দেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নরের ব্যক্তিগত লকার থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে দুদক।
Leave a Reply