স্ট্যাটান আইল্যান্ডের কয়েকজন ড্রাইবার কৃত্রিম ফুল দিয়ে স্পিড ক্যামেরাগুলোকে ঢেকে দিয়েছে। ফলে এগুলো আর কাজ করতে পারছে না। অভিনব কায়দায় এই অপকর্মকারীদের পাকড়াও করার জন্য নিউইয়র্ক পুলিশের সহায়তা চেয়েছে নগরীর পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
পরিবহন বিভাগের এক কর্মকর্তা মিডিয়াকে বলেন, ‘কাজটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যারা জননিরাপত্তার এই উদ্যোগটি ভণ্ডুল করার কাজটি করেছে, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে।’
সামাজিক মিডিয়ায় প্রকাশিত বিভিন্ন ছবিতে দেখা যায়, ডনগান হিলস ও আর্মস্ট্রং অ্যাভেনিউসহ বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি ক্যামেরাকে ফুল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
ফুল দিয়ে ক্যামেরা ঢাকার কাজটি ঠিক কখন শুরু হয়েছে, তা জানা যায়নি। তাছাড়া ঠিক কতগুলো ক্যামেরাকে ফুল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে, তাও জানা যায়নি।
তবে যারা কাজটি করেছে, তাদের রসবোধ রয়েছে। তারা জানিয়েছে, এটি হলো সৌন্দর্যবর্ধনের অংশবিশেষ।
অবশ্য, এসব ক্যামেরা নিয়ে অনেকেরই নানা ধরনের ক্ষোভ রয়েছে। অনেকে মনে করছেন, এসব ক্যামেরা হলো সাধারণ মানুষের কাছ থেকে স্পিড চেকের মাধ্যমে পকেট খালি করার ফন্দি। জন স্যান্টোস নামের স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের ঠিকাদার বলেন, এগুলো টাকা হাতিয়ে নেওয়ার যন্ত্র। এগুলো ধ্বংস করাই উচিত।
তিনি বলেন, কনজেশন প্রাইসিংয়ের ব্যাপারেও একই কথা প্রযোজ্য। এসব ডিভাইজ দিয়েই কনজেশন প্রাইসিং করা হয়।
মাইক নামের এক প্লাম্বার বলেন, ক্যামেরা ব্লক করার কাজটি ভালোই হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৪.৪৫ মিলিয়ন স্কুল-জোন স্পিড-ক্যামেরা ব্যবহার করে ২০২৩ সালের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে পাঁচটি বরায় ২২২ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করা হয়েছে।
সাধারণভাবে স্ট্যাটেন আইল্যান্ড মোট লঙ্ঘনের একটি ছোট অংশের জন্য দায়ী।
আবার পরিবহন বিভাগ জানায়, স্পিড ক্যামেরার ধরা পড়ার পর জরিমানা দিতে হয় ৫ ডলার। পুলিশের কাছে সরাসরি একই অপরাধের জন্য ধরা পড়লে দিতে হয় আরো বেশি অঙ্কের জরিমানা। তবে স্পিড ক্যামেরা ব্যবহার করে অপরাধীদের সহজেই শনাক্ত করা যায়।
Leave a Reply