আজ রোববার থেকে সপ্তাহের সব কার্যদিবস (৫ দিন) আপিল বিভাগের ভার্চুয়ালি বিচারকার্যক্রম শুরু হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা সোয়া ১টা পর্যন্ত আপিল বিভাগের বিচারকাজ পরিচালিত হবে। এর আগে ১৩ জুলাই মহামারীর মধ্যে প্রথমবার ভার্চুয়াল আপিল বিভাগ বসেছিল। তখন সিদ্ধান্ত ছিল সপ্তাহে শুধুমাত্র দুই দিন বসবে।
এর মধ্যে গত ১৪ জুলাই সিদ্ধান্ত আসে সপ্তাহে সব কার্যদিবস অর্থাৎ রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিচারকাজ পরিচালনা করার। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ ১৯ জুলাই থেকে এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
চলতি বছরের গত ১২ মার্চের পর সুপ্রিম কোর্টে অবকাশকালীন ছুটি শুরু হয়। এর মধ্যে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ায় আদালতও বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত ২৬ এপ্রিল ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়। এ জন্য সুপ্রিম কোর্টের রুলস কমিটি পুনরায় গঠন ও ভার্চুয়াল কোর্ট চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সে দিন প্রথমবারের মতো ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে ফুলকোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের ৮৮ জন বিচারপতি।
এ অবস্থায় গত ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
দুই দিন পর গত ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বা ক্ষেত্রমতে হাইকোর্ট বিভাগ, সময়, প্র্যাকটিস নির্দেশনা (বিশেষ বা সাধারণ) জারি করতে পারবে। পরে গত ১০ মে ভিডিও কনফারেন্সে সব বিচারপতির সাথে বৈঠকের পর (ফুলকোর্ট) ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত হয়। ওই অধ্যাদেশের পর নিম্ন আদালত, হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ভার্চুয়াল বিচারকাজ চলে। পরে গত ৮ জুলাই বিলটি সংসদে পাস হয়।
গত ১২ জুলাই আপিল বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সপ্তাহে দুই দিন (সোম ও বৃহস্পতিবার) ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আপিল বিভাগের বিচারকাজ চলবে। সে অনুসারে প্রথমবারের মতো গত ১৩ জুলাই ভার্চুয়ালি বসেছিলেন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ। পরদিন গত ১৪ জুলাই আরেকটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে আপিল বিভাগ। এতে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে এবং শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া আদালত তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০ (২০২০ সালের ১১ নম্বর আইন) ও অত্র কোর্ট প্রণীত প্র্যাকটিস ডাইরেকশন অনুসরণ করে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে স্বাভাবিক বিচারকার্য পরিচালিত হবে মর্মে অনুমোদন দিয়েছেন।
Leave a Reply