হাসপাতাল ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ, নাশকতাসহ অন্যান্য ঘটনায় সারা দেশে এ পর্যন্ত ৬১১ জন নিহত হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, চলমান সংঘর্ষের ঘটনায় দেড় শতাধিক বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এদিকে কারাবন্দি জাবেদের বড় ভাই মো. ফারুক বলেন, ৬ আগস্ট কারাগারের ভেতরে আসামিরা বিক্ষোভ করেছিলেন।
সেখানে জাবেদের মুখ ও কানে গুলি বিদ্ধ হয়। কারারক্ষীরা তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। চিকিৎসা শেষে চিকিৎসক মিরপুরের ডেন্টাল হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসা শেষে ১১ আগস্ট ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অন্যদিকে একই ঘটনায় কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় কারাবন্দি মো. সোহানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই দিন ভর্তি করা হয়।
তাঁদের মধ্যে মৃত জাবেদের গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার খাড়কি গ্রামে। সোহানের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বেলপাড়া গ্রামে। অনাদি হাওলাদারের গ্রামের বাড়ি সম্পর্কে জানা যায়নি।
মর্গে এখনো ২০ লাশ
সহিংসতায় নিহতদের মধ্যে ২০ জনের মরদেহ রাজধানীর দুটি হাসপাতালের তিনটি মর্গে পড়ে থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এই লাশগুলো বিকৃত হয়ে যাওয়ায় পরিচয় বোঝা যাচ্ছে না জানিয়ে গতকাল বিকেলে হাসপাতাল সূত্র জানায়, থানার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এসব লাশের সুরতহাল করা যাচ্ছে না। লাশগুলো পচে ফুলে গেছে, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের খোঁজে মর্গে আসেনি কেউ।
মর্গ সূত্র জানায়, এসব লাশের মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে আটটি, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে ৯টি এবং শেরেবাংলানগরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে তিনটি মরদেহ রয়েছে।
Leave a Reply