মক্কার আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরায় পবিত্র হজের খুতবা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বছর হজের খুতবা দিয়েছেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ মাহের আল মুয়াইকিলি। খুতবায় তিনি বিশেষভাবে ফিলিস্তিনিদের কথা উল্লেখ করেছেন এবং তাদের জন্য দোয়াও করেছেন।
বাংলাদেশ সময় সোয়া ৩টার দিকে হজের খুতবা শুরু হয়। খুতবায় তিনি বলেন, হে মানুষ, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা:-এর আনুগত্য করো। কোরআনে বলা হয়েছে যে- ফেতনা-ফাসাদ থেকে দূরে থাকো। আর যে অন্যায় করবে আল্লাহ তাকে শাস্তি দেবেন।
তিনি বলেন, ইবাদত শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য এবং বিধান শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য। আর যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করবে সে এমন জায়গা থেকে রিজিক পাবে যেখান থেকে সে কল্পনাও করতে পারবে না।
তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা সবকিছুর মালিক। তিনি আমাদের জন্য রহমত হিসেবে কোরআন অবতীর্ণ করেছেন। কোরআন এমন একটি গ্রন্থ যার প্রতিটি আয়াত প্রজ্ঞায় পরিপূর্ণ। এই কোরআন মানুষকে সরল পথ দেখায়।
খুতবায় তিনি বলেন, তাকওয়া মানুষকে সফলতা ও মুক্তি দেয়, তাকওয়া অবলম্বনকারীরা কিয়ামতের দিন দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্ত থাকবে। সে তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দেবেন যেখান থেকে সে কল্পনাও করতে পারবে না। যে তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে তাকে প্রতিদান দেবেন।
তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা হজরত মোহাম্মদ সা:-কে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন। যারা নবীজি সা:-কে সম্মান করবে, ঈমান আনবে এবং আল্লাহ হেদায়েত স্বরূপ যে কোরআন নাজিল করেছেন তার বিধান মেনে চলবে তারাই সফল।
হজের খুতবায় তিনি ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য রহমত কামনা করে দোয়া করেন। খুতবায় ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে তুলে ধরে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের মুসলমানেরা যুদ্ধের কবলে। তারা বিপর্যস্ত। তাদের খাওয়ার পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই, পৃথিবীর সবধরনের আরাম ও সুখ থেকে তারা বঞ্চিত। তাদের জন্য দোয়া করুন। বিশ্ব মুসলিমের কাছে এটা তাদের পাওনা।
তিনি বলেন, যারা ফিলিস্তিনিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন, সহযোগিতার চেষ্টা, অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সহযোগিতা করছেন, করছেন তারাও দোয়ার হকদার। এছাড়াও যারা হজযাত্রীদের সেবা করছেন তারাও দোয়ার হকদার।
Leave a Reply