ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো। তিনি বুধবার ইসরাইলের নেতাকে ‘গণহত্যাকারী’ হিসেবেও অভিহিত করেছেন।
পেট্রো রাজধানী বোগোটায় মে দিবসের সমাবেশে বলেন, ‘আগামীকাল ইসরাইল রাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে। কারণ দেশটিতে এক গণহত্যাকারী প্রেসিডেন্ট রয়েছেন।’ তিনি এ দিয়ে ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ (তিনি মোটামুটিভাবে প্রতীকী ভূমিকা পালন করেন) নাকি যুদ্ধ পরিচালনাকারী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে বুঝিয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়।
পেট্রো বারবার গাজায় ইসরাইলের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি এমনকি ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের অভিযানের সমালোচনা করতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
পেট্রোর এই ঘোষণা ল্যাতিন আমেরিকায় ইসরাইলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্রের সাথে ঐতিহাসিক সম্পর্কের অবসান হলো। বছরের পর বছর ধরে ইসরাইল এ দেশকে অস্ত্র সহায়তা দিয়ে গেছে। আসলে কলম্বিয়ার প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশই হলো ইসরাইল।
তবে ৭ অক্টোবরের পর ‘নাৎসিরা যেভাবে ইহুদিদের সম্পর্কে কথা বলত’, গাজাবাসীর ব্যাপারে একই ধরনের ভাষা প্রয়োগের জন্য ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে অভিযুক্ত করার পর ইসরাইল কলম্বিয়ায় নিরাপত্তা রফতানি বন্ধ করে দেয়। এরপর বোগোটা ইসরাইলের রাষ্ট্রদূতকে বিদায় নেয়ার নির্দেশ দেয়।
কলম্বিয়ার প্রথম বামপন্থী প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, কোনো গণতান্ত্রিক জনসাধারণ ‘আন্তর্জাতিক রাজনীতিকে নাৎসিবাদ পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে’ সমর্থন করতে পারে না।
গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগেও তিনি ইসরাইলকে নাৎসিদের সাথে তুলনা করেছিলেন।
ফেব্রুয়ারিতে পেট্রো গাজায় খাদ্যের অভাবে বিপুল সংখ্যক লোকের মৃত্যুকে ‘গণহত্যার সাথে তুলনা করেন, হলুকাস্টের’ মতো বলে অভিহিত করেন।
গত মার্চে পেট্রো ঘোষণা দিয়েছিলেন, গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি না হলে তিনি ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন।
উল্লেখ্য, হেগস্থ আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলার প্রতি সমর্থন দিয়েছিল কলম্বিয়া। এতে গাজা যুদ্ধকে গণহত্যা কনভেনশনের লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করা হয়।
কলম্বিয়ার এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছে ইসরাইল।
এর আগে ১ নভেম্বর ল্যাতিন আমেরিকার বলিভিয়াও ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল
Leave a Reply